আমদাবাদের রেশ কাটতে না কাটতেই আগুন লাগল অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় একটি হোটেলে। হোটেলটি করোনাভাইরাস কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহত হচ্ছিল। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ন'জনের।
স্বপ্না প্যালেস নামে ওই হোটেলটিকে করোনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল রমেশ হাসপাতাল। যা অন্ধ্রপ্রদেশে পরিচিত বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম। বিজয়ওয়াড়া সিটি পুলিশ কমিশনার বি শ্রীনিবাসুলু জানিয়েছেন, ভোর ৫ টা ১৫ মিনিট কন্ট্রোল রুমে ফোন যায়। জানানো হয়, হোটেলে আগুন লেগেছে। তিনি বলেন, ‘দমকল বাহিনী নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে দ্রুত আসি।’ তারপর ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিজয়ওয়াড়া পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে ওই হোটেলে ৩০ জন করোনা রোগী এবং ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন। তবে নিরাপত্তারক্ষী কৃষ্ণা রেড্ডি-সহ দু'জন হোটেলকর্মী দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তল থেকে ঝাঁপ মেরেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন রোগীরা। উপরের দিকে তলগুলিতে যে রোগীরা ছিলেন, তাঁরা সাহায্যের আর্তি জানাতে থাকেন। নিঃশ্বাস নিতে না পারায় কয়েকজন রোগী হোটেল থেকে ঝাঁপ মারারও চেষ্টা করেন। তাঁদের কাছে অবশ্য দ্রুত পৌঁছান দমকলকর্মীরা। মই দিয়ে ১৭ জন রোগীকে সুরক্ষিতভাবে নামিয়ে আনা হয়েছে।
আগুনের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, 'বিজয়ওয়াড়ার করোনা কেন্দ্রের আগুনে গভীরভাবে ব্যথিত। যাঁরা নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের যত দ্রুত সম্ভব আরোগ্য কামনা করছি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডির সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি।'
গত বৃহস্পতিবার গুজরাতের আমদাবাদের একটি করোনা হাসপাতালের আইসিইউতে আগুন লেগে আটজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছিল, হাসপাতালের চতুর্থ তলে শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগেছিল। বিজয়ওয়াড়ার হোটেলেও শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন দমকলকর্মীরা।