মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর ঘটনা। আগুন ধরে গেল বিমানের ইঞ্জিনে। তাতে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। তবে তার আগেই জরুরি অবতরণ করল বিমানটি। তার ফলে রক্ষা পেলেন বিমানের যাত্রীরা। হাইনান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান চিনের শেনজেনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পরেই বিমানটি রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: টেকঅফের আগে বিকট বিস্ফোরণ, আর্সেনাল ফুটবলারদের বহনকারী বিমানে ভয়াবহ আগুন
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাইনান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার বিমানে ২৪৯ জন যাত্রী এবং ১৬ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। বিমানটি উড়ান শুরুর কিছুক্ষণ পরেই এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিমানের ইঞ্জিনের পাখির ধাক্কা লাগার ফলে আগুন ধরে যায়। ইতালীর কোস্ট গার্ড এবিষয়টি নিশ্চিত করেছে, যে ইঞ্জিনে আগুন লাগার সম্ভবত কারণ হল পাখির ধাক্কা। তারপরেই এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এদিকে, ইঞ্জিনে আগুন দেখতে পেয়ে বিমান চালক ফিউমিসিনো বিমান বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সেখানেই জরুরি অবতরণ করে। জানা গিয়েছে, বিমানের ওজন কমাতে সমুদ্রের উপর জ্বালানি ফেলে দিতে হয়েছিল। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, এরফলে অন্যান্য বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়নি বলে বিমানবন্দরের একজন আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের রেকর্ডিং করা ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, যে ইঞ্জিন থেকে আগুনের শিখা দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুন ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে।বিশ্বব্যাপী বোয়িং বিমানে একই ধরনের ইঞ্জিনে আগুনের সাম্প্রতিক ঘটনা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই ইন্দোনেশিয়ার একটি বোয়িং বিমানে আগুন লাগে। পাপুয়া প্রদেশের সেন্টানি বিমানবন্দরের কাছে সেই ঘটনা ঘটেছিল। তবে বিমানের ১২১ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, জুন মাসে টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর থেকে উড়ানের পরপরই একটি এয়ার কানাডা বোয়িং বিমানের ইঞ্জিনে আগুন লেগে গিয়েছিল।
তবে বিমানে পাখির ধাক্কা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতাতেও বিমানে পাখির ধাক্কার ঘটনা বাড়ছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরে পাখির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে ১৮ টি। আর ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিমানবন্দরে ৪৫০ টিরও বেশি পাখির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই আশেপাশের পুরসভাগুলিকে নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।