দিল্লিতে আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। সেই নিষেধাজ্ঞা তোলার দাবিতে এবং বাজি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট পালটা প্রশ্ন করেন, ‘কেন দূষণ বৃদ্ধি করতে চাইছেন?’ পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, বাজির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। প্রসঙ্গত, দিল্লি সরকার ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীতে বাজি কেনা ও ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী অশ্বিনী দুবে দাবি করেন, দিল্লির দূষণের মূল কারণ খড় পোড়ানো। এই যুক্তির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘আমাদের নির্দেশ খুবই স্পষ্ট। যতই সবুজ পটকা হোক না কেন... আমরা কীভাবে আতশবাজির অনুমতি দিতে পারি? আপনি তো দিল্লির বাসিন্দা। দিল্লির দূষণ দেখেছেন? আপনার আবেদন আমরা খারিজ করছি না। দিওয়ালির আগেই এর শুনানি হবে।’ তবে নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এমআর শাহের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আরও বলে, ‘দীপাবলির পরে দিল্লির বাতাসের গুণমান আরও খারাপ হয়ে যাবে। পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাবে।’
এদিকে সেই আবেদনে দাবি জানানো হয়, অনুমোদিত বাজি ফাটালে বা বিক্রি করলে যাতে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এফআইআর না রুজু করা হয়। আবেদনে বলা হয়, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ উৎসবের সময় একটু বাজে বার্তা দেয়। আম জনতার মধ্যে অকারণ ভীতি এবং ক্রোধ তৈরি হয়েছে এর জেরে। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিব, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ জেলা সুপার, স্টেশন হাউস অফিসার এবং অন্যান্য কর্তারা তাঁদের নিজ নিজ রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন হাই কোর্টের তরফে এত নির্দেশ জারি করা হয়েছে যে সাধারণ মানুষের কাছে এই বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে না।’ আবেদনে বলা হয়, ‘বাঁচার অধিকারের নামে ধর্মের স্বাধীনতা হরণ করা যায় না। এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।’