আলাপুঝা-কান্নুর এক্সিকিউটিভ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন। বৃহস্পতিবার আচমকাই আগুন লাগে ওই ট্রেনে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। সূত্রের খবর, ভারত পেট্রোলিয়াম ফুয়েড ডিপোর কাছে ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল। কুন্নুর স্টেশনের কাছেই ট্রেনের একটি কোচে আগুন লেগে যায়। তবে ঘটনার খবর পেয়েই দমকল ও রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে আগুন পুরোপুরি নেভানোর আগে একেবারে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় কামরাটি।
রাত দেড়টা নাগাদ দমকলের কাছে খবর যায় যে ট্রেনে আগুন লেগে গিয়েছে। যখন দমকলের গাড়ি এলাকায় যায় তখন দেখা যায় আগুনে পুড়ে গিয়েছে একটি কামরা। আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় ট্রেনের কামরা থেকে বের হচ্ছে। প্রচুর ধোঁয়া বের হতে থাকে ট্রেন থেকে।
দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ভোর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সূত্রের খবর, পেছনের দিক থেকে তিন নম্বর কোচে প্রথমে আগুন লাগে। কিন্তু কীভাবে ট্রেনে আগুন লাগল তা নিয়ে এখনও সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ফরেনসিক টিম গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
এদিকে গত ২ এপ্রিল শাহরুখ সফি নামে এক যুবক ট্রেনের যাত্রীদের গায়ে দাহ্য তরল ছড়িয়ে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। পরে সইফিকে গ্রেফতার করা হয়। মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড তাকে গ্রেফতার করেছিল।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই নানা চাপানউতোর চলতে থাকে। কংগ্রেস ও বিজেপি কেরল সরকারকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছিলেন। তবে সেই রেশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই ফের কেরলের ট্রেনে আগুন।
বিজেপির কেরলের রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন দাবি করেছেন, কেন্দ্রের তৎপরতার জন্য় কেরলে আজও শান্তি রয়েছে। না হলে জঙ্গিরা কেরলকে জ্বালিয়ে দিত। কেরল সরকার শুধু ভোট ব্যাঙ্কের জন্য় জাতীয় সুরক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছে।
ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ প্যাসেঞ্জার অ্য়ামেনিটিস কমিটির চেয়ারম্যান পিকে কৃষ্ণদাস জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। বার বার কেরলে কেন এই ধরনের ঘটনা হচ্ছে এটা জানা দরকার।