উড়ান শুরুর আগে বিমানে যাত্রীদের মালপত্র রাখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কর্মীরা। ঠিক সেইসময় ঘটে গেল ভয়ংকর দুর্ঘটনা। আগুন ধরে গেল এক যাত্রীর রাসায়নিক ভরতি ব্যাগে। মাঝ আকাশে এরকম হলে বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। তবে উড়ান শুরুর আগেই এমন ঘটনায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয় যাত্রীদের মধ্যে। এই ঘটনায় ৫ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে আগুন বিমানে, ভাইরাল গায়ে কাঁটা দেওয়া ভিডিয়ো
জানা গিয়েছে, শুক্রবার মুম্বই-আদিস আবাবা বিমানটি উড়ানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সাহার থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্যাগ বহনকারী যাত্রী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁর নাম সমীর নারায়ণচন্দ্র। অন্যান্য ধৃতেরা হল নন্দন দীনেশ যাদব, সুরেশ সুব্বা সিং, বিশ্বনাথ বালাসুব্রামনিয়াম সেঞ্জুন্ধর এবং অখিলেশ গজরাজ যাদব।
জানা গিয়েছে, ব্যাগটি কঙ্গোতে নবীন শর্মা নামে এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। এই নবীন শর্মা এই মামলায় ওয়ান্টেড। মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি কঙ্গোয় রয়েছেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিমানে লাগেজ রাখার সময় ওই ব্যাগ থেকে প্রথমে ধোঁয়া বের হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ব্যাগে আগুন ধরে যায়। তবে তা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
এরপরেই সমীরকে হেফাজতে নিয়ে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, নন্দন যাদব তাকে এই ব্যাগটি দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে এই ব্যাগটি কঙ্গোতে নবীন শর্মার হাতে দিতে হবে। এরপরেই পুলিশ যাদব এবং লজিস্টিক সংস্থার কর্মচারী-সহ আরও তিনজন কর্মীকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাগে ১০ কেজি দাহ্য পদার্থ ছিল, যার অর্ধেক তরল এবং বাকিটা পাউডার আকারে ছিল। কী পদার্থ তা জানতে, ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সমীর এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বিএনএস এবং অসামরিক বিমান চলাচল সুরক্ষা আইন ১৯৮২-এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্দেশ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সও একটি বিবৃতি জারি করেছে। তাতে ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।