পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পাক রেঞ্জারদের মহা ঝামেলা। আটার দাম এত বাড়ল কেন, ইলেকট্রিকের মাসুল এত বাড়ল কেন এটা নিয়েই বিরোধের সূত্রপাত। তা নিয়েই ঝামেলা একেবারে চূড়ান্ত জায়গায় গিয়ে পৌঁছয়। এর জেরে বিক্ষোভকারীদের নিশানা করে গুলি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাক রেঞ্জাররা বিক্ষোভকারীদের নিশানা করে গুলি করে। তাতেই অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আরও ৬জন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
ডন সংবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে আধাসামরিক রেঞ্জাররা ওই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য় এসেছিল। কিন্তু তাদের ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। তাদের নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছিল। শোরান ডা নাক্কা গ্রামের কাছে পাক রেঞ্জারদের নিশানা করে পাথর ছোঁড়া হতে থাকে। তার জেরে বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। সেই সঙ্গেই গুলি চালানো হতে থাকে।
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পশ্চিম বাইপাস ধরে বাহিনী শহরে প্রবেশ করে। আর তখন ফের তাদের উপর পাথর বৃষ্টি শুরু হয়। এরপরই ফের সেখানে গুলি চালাতে শুরু করে বাহিনী। এমনকী রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে গোটা এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে এটা বুঝতে পেরেই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ওই এলাকায় ২৩ বিলিয়ন ভর্তুকির কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার আগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে স্থানীয় সরকারের কিছু আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। তারপরই সেখানে প্রতিবাদ আন্দোলন আরও বাড়তে থাকে।
এদিকে শনিবারও ওই এলাকায় অশান্তি মাথাচাড়া দিয়েছিল। দফায় দফায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের সংঘর্ষ চরম আকার নেয়। তার জেরে এক পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছিল। অন্তত ১০০জন আহত হয়েছিল। সব মিলিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চরম আকার হয়।
এদিকে এই হিংসার ঠিক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফের সঙ্গে সেই এলাকার প্রধানমন্ত্রী আনারুল হকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। এরপরই সেখানে ভর্তুকির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি।
এর আগে পাকিস্তানি মুদ্রায় ৪০ কেজি আটার দাম ছিল ৩১০০ টাকা। তবে ভর্তুকির পরে সেই দাম দাঁড়ায় ২০০০। ইলেকট্রিকের মাসুলও কিছুটা কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ডনের রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।