আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল ২-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ (২-ডিজি)। যা তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। সোমবার করোনাভাইরাসের সেই ওষুধটি সামনে আনেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
রাজনাথ দাবি করেন, করোনার চিকিৎসায় ‘নয়া আশার আলো’ নিয়ে এসেছে ২-ডিজি। তা কার্যকরী হবে বলেও আত্মপ্রকাশ করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের বৈজ্ঞানিক শক্তির দারুণ উদাহরণ এটা।’
ডিআরডিওয়ের চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেন, 'নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় করোনা-রোধক ২-ডিজি ওষুধ ব্যবহার করা হবে। আপাতত এইমস, সেনা হাসপাতাল, ডিআরডিও হাসপাতাল এবং যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে এই ওষুধ ব্যবহার করা হবে। জুন থেকে সব হাসপাতালে মিলবে।' আপাতত দ্বিতীয় দফায় সেই ওষুধের উৎপাদন শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তা চলে আসবে।
ওষুধটি ডিআরডিও ও হায়দরাবাদে ডঃ ডক্টর রেড্ডিজের গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে। যা পাউডারের আকারে পাওয়া যাবে। করোনা আক্রান্তদের এটি জলে গুলে ওআরসের মতো খাওয়াতে হবে। যা অনেকটা গ্লুকোজের মতো এবং সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরেই ডিসিজিআই এই ওষুধ ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছেন। এই ওষুধের ফলে করোনা রোগীদের অক্সিজেনের নির্ভরতা কমতে থাকে। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। গত বছর মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে এই ওষুধের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়। ১১০ জন রোগীর উপর পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয় এই ওষুধ। তখনই করোনা আক্রান্তের জন্য এই ওষুধের উপকারিতা সামনে আসে। তারপর আরও এক দফায় ট্রায়াল হয়। সেই ট্রায়ালের ফলাফলের ভিত্তিতেই করোনা সংক্রমণ রুখতে এই ওষুধ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওষুধটি গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ও নিরাপদ বলে দাবি করা হয়েছে। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই) ভি কে সোমানি জরুরি ভিত্তিতে সেই ওষুধ ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছেন।