করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে ঘোষিত প্রথম ভারতীয় নাগরিকের চিকিত্সার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানাল তাঁর পরিবার।
চিনে এই মারণভাইরাসে আক্রান্ত প্রীতি মাহেশ্বরীর চিকিত্সার জন্য প্রয়োজনীয় ১ কোটি টাকা জোগাড় করতে না পেরে বেইজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে অর্থসাহায্য চেয়ে আবেদন জানালেন তাঁর ভাই বেঙ্গালুরুর অ্যামাজন কর্মী মণীশ থাপা। সেই সঙ্গে দেশে এক স্বাস্থ্যান্বেষী ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্মেরও সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, চিনের শেনঝেন শহরের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্কুলের শিক্ষিকা প্রীতি বর্তমানে করোনাভাইরাস নিউমোনিয়ার প্রথম স্টেজের রোগী। শ্বাসকষ্ট, মাল্টিপল অর্গ্যান ফেইলিওর সিন্ড্রোম ও সেপটিক শক-সহ একাধিক সমস্যা তাঁর শরীরে দেখা দিয়েছে। আপাতত শেনঝেনের শেকউ হাসপাতালের ইনটেন্সিভ কেয়ার বিভাগে এক্সটার্নাল রেস্পিরেটরি সাপোর্ট, ভেন্টিলেটর, ডায়ালিসিস ও ব্লাড পিউরিফিকেশন প্রক্রিয়ার অধীনে তাঁর চিকিত্সা চলছে।
‘মিন্ট’-কে মণীশ জানিয়েছেন, ’১১ জানুয়ারি প্রীতিকে ভরতি করার পর থেকে প্রতিদিন চিকিত্সার খরচ বাড়ছে। বর্তমানে তা প্রায় ১০ লাখ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকা। খরচ সামলাতে হিমশিম আমি তাই ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ImpactGuru.com-এর সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছি। প্রীতি সাংঘাতিক অসুস্থ এবং তার পরিবারের সাধ্য নেই চিকিত্সার খরচ জোগায়।’
তিনি জানিয়েছেন, ওই প্ল্যাটফর্ম ৪ দিনের মধ্যে্ ৪১০ জন দাতার থেকে প্রীতির চিকিত্সার জন্য ১৫.২৭ লাখ টাকা তুলতে পেরেছে।
এখন আগের চেয়ে সামান্য ভালো আছেন প্রীতি। তাঁর হার্টবিট স্বাভাবিক হয়েছে, তবে এখনও বহাল রয়েছে ক্রিটিক্যাল লাইফ সাপোর্ট। মণীশ জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ সুস্থ হতে এখনও বহু দিন সময় লাগবে তাঁর বোনের। খরচ সামলাতে তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন প্রীতির পরিবার।
সংক্রামক করোনাভাইরাসের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করতে গত বৃহস্পতিবার দু’টি হটলাইন +8618612083629 ও +8618612083617 চালু করেছে ভারতীয় দূতাবাস। দূতাবাসের সঙ্গে ইতিমধ্যে এই বিষেয়ে য়োগাযোগ করছেন চিনের হুবেই প্রদেশে অনাবাসী ভারতীয়রা। তথ্যসাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করছেন ভারতের বহু বাসিন্দাও।
দূতাবাস জানিয়েচে, করোনাভাইরাস সম্পর্কে সাম্প্রতিক তথ্য জানতে ২৪ ঘণ্টা উহান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখা হয়েছে। ওই ভাইরাস সংক্রান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) প্রচারিত নির্দেশও মানা হচ্ছে বলে দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে।