ভারতে তৈরি প্রথম কোভিড ভ্যাক্সিন ‘কোভ্যাক্সিন’-এর প্রথম পর্বে প্রথম পর্যায়ের মানবদেহে পরীক্ষার ফল যথেষ্ট অনুপ্রেরণামূলক, জানিয়েছেন পিজিআই রোহতক-এর গবেষকরা।
গত ১৭ জুলাই রোহতকের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ তিন জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে এই ভ্যাক্সিন প্রবেশ করিয়ে যে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল, শনিবার তার ফল জানা গিয়েছে। ভ্যাক্সিন অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান সবিতা ভার্মা জানিয়েছেন, ‘ভ্যাক্সিনের ফেজ ১-এর প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। ভারতজুড়ে ৫০ জনের উপরে এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয় এবং তার ফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬ জনের উপরে এই ভ্যাক্সিন শনিবার প্রয়োগ করা হয়েছে।’
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় দিল্লির এইমস হাসপাতালে কোভ্যাক্সিন-এর মানবদেহে পরীক্ষার পর্ব শুরু হয়েছে। তিরিশের কোঠায় বয়েসি এক ব্যক্তির শরীরে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়েছে। কোনও তাৎক্ষণিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, জানিয়েছেন এইমস-দিল্লির প্রধান অনুসন্ধানকারী। জানা গিয়েছে, ১৪৪ জন রোগীর মধ্যে মাত্র ১৭ জনের মধ্যে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, গলা খুশখুশ ও কাশির মতো করোনা উপসর্গ দেখা গিয়েছে। ৪৪ জন রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ভরতির আগে পর্যন্ত কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি।
ভারতের প্রথম কোভিড ভ্যাক্সিনটি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে আইসিএমআর, ভারত বায়োটেক ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি)।
কোভ্যাক্সিন-এর মানবদেহে পরীক্ষার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুসন্ধানের জন্য দিল্লি-এইমসল হ মোট ১২টি চিকিৎসাকেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন মোট ৭৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। তাঁদের বয়স ১২ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। এইমস-এ ইতিমধ্যে ৩,৫০০ এর বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাক্সিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।
এইমস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে দেখে নেওয়া হচ্ছে ভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা বিষয়ক দিকগুলি। চিহ্নিত করা হচ্ছে ভ্যাক্সিনের ডোজও।
অন্য দিকে, ভারতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদনের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া-র থেকে তারা অর আগেই ফেজ ২ ও ফেজ ৩ মানবদেহে ওই ভ্যাক্সিন পরীক্ষার জন্য অনুমোদন সংগ্রহ করেছে।