১৯৭৫-এর পর প্রথম বার। ৪৫ বছর বাদে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ভারতীয় সেনারা। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোমবার রাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক কম্যান্ডিং অফিসার সহ তিনজন ভারতীয় সেনা। ওই পক্ষেও মৃতের খবর পাওয়া যাচ্ছে তবে সংখ্যাটি জানা যায়নি।।
১৯৭৫ সালে শেষবার কোনও ভারতীয় সেনা চিনের হাতে মারা গিয়েছিল যখন একটা ইন্ডিয়ান প্যাট্রলকে অ্যামবুশ করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি অরুনাচল প্রদেশে। তারপর ফের সোমবার রাতে ঘটল দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যখন চিনের হাতে মারা গেলেন এক কম্যান্ডিং অফিসার সহ তিন ভারতীয় জওয়ান। বাকিদের মধ্যে একজন জেসিও বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে যে গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা সরোনার সময় আচমকা ঝামেলা লাগে। তাতেই সংঘর্ষ শুরু হয়। মৃত্যু হয় তিন সেনার। অন্যদিকে পুরো ঘটনার জন্য ভারতের ওপর দায় চাপিয়েছে চিন।
বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন যে একবার নয় দুইবার সীমান্ত অতিক্রম করেছিল ভারতীয় সেনা ১৫ তারিখ। তখন চিনা বাহিনী তাদের আটকাতে গেলেই সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে কোনও ভারতীয় সেনা মারা গেছেন কিনা, সেটা জানা নেই বলে দাবি চিনের মুখপাত্রের। নিজেদের দিকে ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও কিছু বলেনি বেজিং যদিও ভারত বলেছে চিনের সেনাও মারা গিয়েছে সংঘর্ষ।
গুলি চলেনি সোমবার রাতে অতএব পুরোটাই হাতাহাতি ও পাথর ছোঁড়াছুড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার জেরে জরুরি বৈঠক করেছেন ভারতের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান ও সিডিএস।
লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি)-তে পুরো সংঘর্ষটি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত গত মাসের গোড়ায় পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকে এরকম ধরনের হাতাহাতি থেকেই পুরো সমস্যাটি সবার নজরে আসে। তখন থেকেই পূর্ব লাদাখের চার জায়গায় একেবারে মুখোমুখি দুই বাহিনী।
দফায় দফায় বৈঠকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও সেটা যে বিশেষ ফলপ্রসু হয়নি, সোমবার রাতের ঘটনাই তার প্রমাণ। এই ঘটনার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।