দেশের প্রায় ১৩১ লক্ষ মাছ চাষীকে বড় সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধজাত মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং বরাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের মৎস্য বিভাগের প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার সুবিধা দেওয়া হয়েছে ১৩১.১ লক্ষ জেলেকে। গ্রুপ অ্যাকসিডেন্টাল ইন্স্যুরেন্স স্কিমের আওতায় বড় বিমার সুবিধা পেয়ে থাকেন তাঁরা, যেখানে পুরো বিমা প্রিমিয়ামের পরিমাণ কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার বহন করে। সুবিধাভোগীকে কোনও টাকা দিতে হয় না।
গ্রুপ অ্যাকসিডেন্টাল ইন্স্যুরেন্স স্কিমের অধীনে কত টাকার বীমা সুবিধা মেলে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং, সাধারণত লালন সিং নামে পরিচিত, একটি লিখিত উত্তরে বলেছেন যে গ্রুপ দুর্ঘটনা বীমা প্রকল্পের (GAIS) অধীনে প্রদত্ত দুই ক্যাটাগরিতে বীমা কভারেজ দেওয়া জয়।
- দুর্ঘটনার পর, মৃত্যু বা স্থায়ী অক্ষমতার জন্য ৫,০০,০০০ টাকার সুবিধা দেওয়া হয়।
- দুর্ঘটনার পর, স্থায়ী আংশিক অক্ষমতার জন্য ২,২৫,০০০ টাকার সুবিধা দেওয়া হয়।
- এই প্রকল্পটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ২৫,০০০ টাকার হাসপাতালে ভর্তির খরচও কভার করে।
আরও একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন যে এই প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ স্কিমের অধীনে, গত চার আর্থিক বছর এবং বর্তমান আর্থিক বছরে, বিভিন্ন রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য ১৯,৬৭০.৫৬ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রদেয় অংশ ৮,৬৬৬.২৮ কোটি টাকা৷
মাছ চাষীদের জন্য ৪,২৬,৬৬৬ কিষান ক্রেডিট কার্ড
এছাড়াও মন্ত্রী আরও বলেছেন যে সরকার ২০১৮-১৯ সালে, জেলে এবং মাছ চাষীদের তাদের কার্যকারী মূলধনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে কিষান ক্রেডিট কার্ড (কেসিসি) সুবিধা বাড়িয়েছে। আজ পর্যন্ত, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মৎস্য চাষীদের জন্য ৪,২৬,৬৬৬ কিষান ক্রেডিট কার্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Sheikh Hasina to return to Bangladesh: 'শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরব', দিল্লির অজ্ঞাতবাস থেকে বার্তা শেখ হাসিনার)
ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের সুবিধা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মৎস্য, পশুপালন এবং দুগ্ধজাত মন্ত্রক ২০১৮-১৯ আর্থিক বছর থেকে 'ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড' নামে একটি প্রকল্পও বাস্তবায়ন করেছে, যা মাছ চাষীদের বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। মৎস্য সম্পদ অবকাঠামো সুবিধার উন্নয়নের জন্য মাছ চাষীদের বার্ষিক ৩ শতাংশ সুদের হার লোন দেওয়া হয়। পরিশোধের মেয়াদ থাকে ১২ বছর পর্যন্ত।
মাছ চাষের উন্নয়নে আরও পরিকল্পনা
মন্ত্রী জানিয়েছেন, মৎস্য ও জলজ চাষের সম্প্রসারণের জন্য অনুমোদিত ব্যাপক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে:-
- জলজ চাষের জন্য ২৯.৯৬৪ হেক্টর পুকুর এলাকা।
- ৪০১৩ বায়োফ্লক ইউনিট।
- ১১৯৯৫ রিসার্কুলেশন অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম (আরএএস)।
- ৫০,৭১০ রিজার্ভার।
- ১,১১,১১০ সামুদ্রিক শৈবাল রাফ্ট ও মনোলিন ইউনিট।
- ১৪৮৯ বাইভালভ ফার্মিং ইউনিট।
- ৭২০ কৃত্রিম রিফ ইউনিট।
- ৬ ওয়াটারপার্ক সহ একটি সামুদ্রিক শৈবাল পার্ক।
- ১০৪০ ফিড মিল ইউনিট।
- ৫৪ ফিশিং বন্দর।
- ৮১ কোল্ড স্টোরেজ।
- ১৮ পাইকারি মাছের বাজার।
- ১৯৩ মাছের খুচরা বাজার।
- ৬৫৮১ মাছের কিয়স্ক।
- ১০৮ মূল্য সংযোজন এন্টারপ্রাইজ ইউনিট।
- ২৬,১৮৮ পরিবহন ইউনিট।