বন্যা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মৎস্যজীবীরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। একদিকে যেমন দেশের বেশ কিছু জায়গা বন্যার কারণে জলের তলায়, অন্যদিকে হালদা নদী এলাকায় জল বেড়ে যাওয়ায় বা বর্ষা আশায় খুশি মৎস্যজীবীরা।
কেন মৎস্যজীবীরা খুশি? কারণ এই পরিস্থিতির মধ্যে তৃতীয় দফায় ডিম ছাড়ছে মাছ। তাতে হালদা নদীতে মাছের চাষ আরও ভালো হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই বর্ষার সুফল আর কয়েক মাসের মধ্যে পেতে চলেছে এলাকার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়।
বৃহস্পতিবার ১৬ মে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রচুর বৃষ্টি হয়। ওই দিন রাতে হালদা নদীতে জোয়ার আসে। এই সময় নদীর মাছগুলি প্রচুর ডিম ছাড়ে। এই নিয়ে তৃতীয় দফায় ডিম ছাড়ল নদীর কার্প মাছগুলি। বাংলাদেশ মৎস দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জেলেরা রাতে খুব বেশি ডিম সংগ্রহ করতে পারেননি। সকালের দিকে জেলেরা তুলনায় অনেক বেশি ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বছরের এই সময়ে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এই সময়েই মাছের প্রজননের উপযুক্ত সময়। এর আগে ১৬ মে দ্বিতীয় দফায় ডিম ছাড়ে এই নদীর কার্প জাতীয় মাছ।
আগের দুই দফায় মোট ৩২০০ কেজি ডিম পাওয়া গিয়েছিল। এই দফায় সেই পরিমাণে ডিম পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্থানীয় জেলে ও মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের মতে, এই দফায় গত দুই দফার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে ডিম পাওয়া যাবে। কারণ মরশুমের শেষ সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যার ফলে মাছের ডিমের সংখ্যাও বাড়বে। এই মরশুমের শেষ জোয়ারের সময় ২৩ থেকে ৩০ জুন।
হালদা নদী ও কর্ণফুলি নদীর সংযোগস্থল সংলগ্ন তিন জেলার মৎস্যজীবীদের জীবিকা এই নদীর মাছের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। আগামী কিছুদিনের বৃষ্টির কারণে মাছের ডিমের সংখ্যা বাড়তে পারে। এই কথায় বন্যার আশঙ্কার মধ্যেও তাঁরা আশার আলো দেখছেন।