অপ্রত্যাশিত ভাবে ফিটজি-র বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে গেল দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারেও ফিটজির বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এই আবহে শত শত শিক্ষার্থী অন্ধকারে রয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির লক্ষ্মী নগর, নয়ডা সেক্টর ৬২-এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মেরঠ, গাজিয়াবাদ, লখনউ ও বারাণসীর ফিটজির শাখাগুলি বন্ধ হয়েছে। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও বিহারের পটনাতেও বন্ধ হয়েছে ফিটজির সেন্টারগুলি। (আরও পড়ুন: ৪ দশক আগে ভারতের অর্থনীতিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ অবদান ছিল বাংলার? আজ কোথায় রাজ্য?)
আরও পড়ুন: আদানির চাপে চোখে অন্ধকার, আঁধার মেটাতে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে $৩ কোটির ঋণ বাংলাদেশের
আরও পড়ুন: নিম্নবিত্তদের খরচ কমছে না মূল্যস্ফীতিতেও, নেপথ্যে কি নানা সরকারি প্রকল্প?
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (আইআইটি-জেইই)-র মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহু বছর ধরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ফিটজি। তবে সাম্প্রতিককালে নাকি বেশ কিছু কেন্দ্রের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছিল না ফিটজি। এই আবহে শিক্ষকরা চাকরি ছেড়ে দেন। এর জেরে সেন্টারগুলিকে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে ফিটজি। গাজিয়াবাদের সেন্টার বন্ধের ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, তারা নয়ডা থেকে শিক্ষক আনিয়ে সেন্টারটি চালু রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই চেষ্টা সত্ত্বেও দু'দিনেই সেন্টারটি বন্ধ করতে হয় ফিটজি-কে। (আরও পড়ুন: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কমছে হু হু করে,পড়শি বাংলাদেশের পকেটে এখন কত ডলার?)
আরও পড়ুন: জাহাজে করে শহরে এল মেট্রোর নতুন দু'টি ডালিয়ান রেক, আছে কী কী ফিচার?
আরও পড়ুন: রুশ তেলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে ভারতে? জবাব দিলেন ইন্ডিয়ান অয়েল প্রধান
এদিকে এভাবে সেন্টার বন্ধ হওয়ার জেরে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা বেশ ক্ষুব্ধ। তাদের অনেকেই পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছে। গাজিয়াবাদ এবং নয়ডার মতো জায়গায় দায়ের হওয়া এই এফআইআর-এ অভিযোগ করা হয়েছে, কোনও কিছু না জানিয়েই কোচিং সেন্টারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। এদিকে অভিযোগ করা হয়েছে, গাজিয়াবেদর সেন্টারের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়নি। (আরও পড়ুন: চাকরি ছাড়ার হার বেড়েছে IT সেক্টরে, কত ফ্রেশার নিয়োগের পরিকল্পনা সংস্থাগুলির?)
আরও পড়ুন: নিয়মের নামে পকেট কাটার চেষ্টা? জিও-Vi-এয়ারটেলকে পাশ করতে হবে TRAI-এর পরীক্ষা
এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসকে পটনার এক ফিটজি শিক্ষক জানান, তারা বহু মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এদিকে সম্প্রতি ফিটজির বহু সেন্টারের বিরুদ্ধে অগ্নি নির্বাপক নিয়ম অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী লাইসেন্সিং সংক্রান্ত অভিযোগও উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই শিক্ষক বলেন, ‘আমি চারবছর ধরে ফিটজিতে পড়াচ্ছিলাম। তবে গতবছর নভেম্বরে আমি ছেড়ে দিই চাকরিটা। কারণ আমি জুলাই মাস থেকে বেতন পাচ্ছিলাম না।’