অবৈধ আবাসনের স্ল্যাব ভেঙে মৃত্যু হল তিন মহিলা-সহ পাঁচজনের। চাঙড়ের স্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ জনকে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের থানে জেলার উলহাসনগরের।
থানে পুরনিগরমের আঞ্চলিক বিপর্যয় মোকাবিলা সেলের প্রধান সন্তোষ কদম জানিযেছেন, শনিবার দুপুর ১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ উলহাসনগরের ক্যাম্প নম্বর এক এলাকার অবস্থিত পাঁচতলা আবাসন ‘মনোরমায়’ সেই ঘটনাটি ঘটেছে। খসে পড়ে পাঁচতলার একটি চাঙড়। তা একতলায় অন্যান্য চাঙড়ের উপর পড়ে। তার জেরে অনেকেই আটকে পড়েন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল এবং পুলিশ। ১১ জন বাসিন্দাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। উদ্ধারকাজে যোগ দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দলও।
তারইমধ্যে চাঙড়ের স্তূপ সরিয়ে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতেরা হলেন - মিলিন্দ পার্শে (১২), ঐশ্বর্য হরিশ দোদওয়াল (২৩), হরিশ দোদওয়াল (৪০), সাবিত্রী পার্শে (৬০) এবং সন্ধ্যা দোদওয়াল (৪৫)। কল্যাণের সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডে জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারপিছু পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।
যদিও উলহাসনগর পুরসভার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক যুবরাজ বাদওয়ানে জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে সেই অবৈধ আবাসনটি তৈরি করা হয়েছিল। তাতে ন'টি ভাড়াটিয়া পরিবার আছে। একতলায় সাতটি দোকানও চলে। তার জেরে স্বভাবতই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দীর্ঘ ২৭ বছর কীভাবে একটি অবৈধ আবাসন দাঁড়িয়ে থাকল এবং এতদিন প্রশাসনের কেন টনক নড়ল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।