উৎপল পরাশর
এক দম্পতি ও তাঁদের তিন কন্যাসন্তান— ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেহ। সোমবার ঘটনাটি ঘটে অসমের কোকরাঝাড় জেলায়। বাজারে অনেক টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল, তার জেরেই গোটা পরিবার আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান পুলিশের।
রোজকার মতো এদিন সকালে কোকরাঝাড়ের গোসাইগাঁওয়ের ওই বাড়িতে পড়তে আসে এক পড়ুয়া। ঘরের ভেতরে ওই পাঁচজনের দেহ সে–ই প্রথম ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। এর পরই ঘটনার কথা জানাজানি হয়। কোকরাঝাড়ের পুলিশ সুপার রাকেশ রোশন সংবাদ সংস্থা পিটিআই–কে জানিয়েছেন, মৃতরা হলেন নির্মল পাল (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী মল্লিকা (৪০) এবং তাঁদের তিন মেয়ে পুজা (২৫), নেহা (১৭) ও দীপা (১৫)।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে রবিবার রাতে ওই পরিবারের সকলে মিলে আত্মহত্যা করেন। প্রচুর টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল ওই পরিবারের। তার জেরেই তাঁগের এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হল বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে।’ যদিও সুইসাইড নোটে কী উল্লেখ রয়েছে সে ব্যাপারে পুলিশ কিছু জানায়নি।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পরিবারের কর্তা এলপিজি গ্যাসের একটি এজেন্সির মালিক ছিলেন। প্রায় ২৫–৩০ লক্ষ টাকা ধার করে বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। তাঁর বড় মেয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল এবং কীভাবে তাঁরা একসঙ্গে আত্মঘাতী হলেন নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অল আসাম বেঙ্গলি যুব ছাত্র ফেডারেশনের কোকরাঝাড় ইউনিট। এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি করেছে তারা।
(আপনার যদি কোনও মানসিক সহায়তার প্রয়োজন হয় বা এমন কাউকে জানা থাকে তবে দয়া করে আপনার নিকটস্থ মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। হেল্পলাইন — আশরা : ০২২ ২৭৫৪ ৬৬৬৯ ; স্নেহ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন : +৯১৪৪২৪৬৪০০৫০ ; সঞ্জীবনী : ০১১ ২৪৩১ ১৯১৮)