দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় ভ্যাকসিনের জোগান সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এবার প্রশাসনের তরফে আশার বাণী শোনা যাচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যে আরও পাঁচটি ভ্যাকসিন চলে আসছে ভারতের বাজারে। ফলে তখন আর ভ্যাকসিনের ঘাটতি থাকবে না বলেই প্রশাসনের একাংশের মত।
এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনার দুটি ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড পাওয়া যাচ্ছে।চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে স্পুটনিক ভি, জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিন, নোভাভ্যাক্স, জাইডাস ক্যাডিলা ও ভারত বায়োটেকের ইনট্রানসাল ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে চলে আসবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার কথা মাথায় রেখেই জরুরি ভিত্তিতে এই সব ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ভারতের সংস্থা ডক্টর রেড্ডিকে ভারতে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরির অনুমতি দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, স্পুটনিক ভি দেশে ৮৫ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এর ফলে দেশের একটা বড় অংশের মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। স্পুটনিক-ভি আগামী জুন থেকেই ভারতের বাজারে চলে আসবে। পাশাপাশি জনসন ও ক্যাডিলার ভ্যাকসিন চলে আসবে অগস্টের মধ্যে। একইসঙ্গে নাসাল ভ্যাকসিন অক্টোবরের মধ্যে ভারতের বাজারে চলে আসবে।
প্রশাসনের তরফে জানা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকাকরণের কাজকে আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্য ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে সরকার। এরজন্য সরকারের আর্থিক সাহায্য, পরিকাঠামো তৈরিতে যাবতীয় সাহায্য করা হবে। উল্লেখ্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজারের মতো। প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণের হার বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ভ্যাকসিনের জোগান বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে সরকার।