ইরানর চাবাহার বিমানবন্দরে এক মর্মান্তিক ঘটনার জেরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেখানে ভরেশ এয়ারলাইন্সের বিমানে চলছিল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। বেয়েইং ৩৭৩-৫০০ বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ চলছিল। তখনই এক গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার সেফটি জোনে ঢুকে পড়েন। সেই সময় চলছিল বিমানের ইঞ্জিন। মুহূর্তে সেই কর্তব্যরত ইঞ্জিনিয়ারকে শুষে টেনে নেয় বিমানের ইঞ্জিনটি। নিমেষে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, এই চলন্ত ইঞ্জিনের কাছে ওই ইঞ্জিনিয়ার গিয়েছিলেন, কারণ, সেই জায়গার আশপাশে তিনি একটি যন্ত্র ফেলে এসেছিলেন। সেটি নিতেই চলন্ত ইঞ্জিনের সামনে যান ওই গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার। প্রয়াত কর্মীর নাম আবুল ফসল আমিরি। সেখানে তিনি প্রতিদিনই সাধারণ পরিষেবার কাজ করেন মেকানিক হিসাবে। ইরানের ঘরোয়া বিমান ভরেশ এয়ারলাইন্সের ৭৩৭-৫০০ এ কাজ করার সময় এই ঘটনা ঘটে যায়। বিমানে কর্মরত অবস্থাতেই তাঁকে বিমানের চলন্ত ইঞ্জিন শুষে টেনে নেয়। একটি টেস্ট রান চলার সময় এই মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটে যায়। বিমানের ডাক দিনের ইঞ্জিনে এই ঘটনা ঘটে। কভার ফ্ল্যাপ ঘিরে একটি সমস্যার জেরে সেখানে চলছিল কাজ। তখনই এই কাণ্ড ঘটে যায়।
নিরাপত্তা নিয়ম অনুযায়ী, দুর্ঘটনা রোধ করতে ইঞ্জিনের চারপাশে একটি সুরক্ষা এলাকা স্থাপন করা হয়। এটি সাধারণ নিরাপত্তাজনিত পদক্ষেপ। এদিকে, আমিরি ওই ইঞ্জিনের কাছে একটি যন্ত্র ফেলে এসেছেন, এটা উপলব্ধি করে সেখানে ছুটে যান। হঠাৎই তাঁকে চলন্ত ইঞ্জিন শুষে নিয়ে নিজের দিকে টেনে নেয়। তারপর ইঞ্জিনে আগুন লাগে। এদিকে, যাত্রীদের জন্য তা চাঞ্চল্যকর ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, চোখের নিমেষে সেখানে মৃত্যু হয় আমিরির। পরে আমিরির দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। ইরানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতের ঘটনা এড়াতে দুর্ঘটনার আশেপাশের পরিস্থিতিতে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে, ২০২২ সাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামায় এক ব্যাগেজ হ্যান্ডেলার এভাবে ইঞ্জিনের মধ্যে শুষে ঢুকে যান। এরপর আমিরির এই ঘটনায় চাঞ্জল্য ছড়িয়েছে।