মুখে মাখার ক্রিমের কৌটোর ভিতর অনেক কায়দা করে সোনার বার লুকিয়ে রেখেও শেষরক্ষা হল না। শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়ে গেলেন অভিযুক্ত! কীভাবে সেই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ক্রিমের কৌটো থেকে সোনার বার বের করা হল, সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
৪৬ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একটি গোল ও চ্যাপ্টা ক্রিমের কৌটো খুলে তার ভিতর থেকে সোনার বার বের করে আনলেন আধিকারিকরা!
যদিও সেই ভিডিয়োয় কারও মুখ দেখা যাচ্ছে না। তবে, সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফ থেকে এই ভিডিয়ো তাদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির কাছ থেকে ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তিনি সৌদি আরবের রিয়াধ থেকে ভারতে পৌঁছন। কিন্তু, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তাঁকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাঁর সঙ্গে থাকা লটবহর পরীক্ষা করা হয়। তাতেই মেলে এই সাফল্য।
পরবর্তীতে দিল্লির শুল্ক বিভাগের তরফেও এই ঘটনার তথ্য ও ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়।
তাতে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের এক্স-রে মেশিনের মধ্যে দিয়ে যখন ওই যাত্রীর জিনিসপত্র যাচাই করা হচ্ছিল, তখনই তাতে কিছু অদ্ভূত ধরনের ছবি ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে শুল্ক আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়।
ওই যাত্রীর কাছ থেকেই পরে ১১৭ গ্রাম বেআইনি সোনা উদ্ধার করা হয়। যা তিনি ক্রিমের কৌটোয় ভরে তারপর সেটি সিল করে দিয়েছিলেন!
পাচারের আরও একটি ঘটনা সামনে আসে গত ৯ নভেম্বর। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, একজন বিমানযাত্রী ৭.৩২১ কিলোগ্রাম মাদক (হেরোয়িন) নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তার আগেই তাঁকে শনাক্ত এবং পাকড়াও করা হয়।
দিল্লি শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যাত্রীর ট্রলি ব্যাগের ভিতর ওই মাদক পণ্য লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে ওই যাত্রী বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন।
এরপরই তাঁকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগটিও খুলে তল্লাশি চালানো হয়। ওই মাদক মোট সাতটি পলিথিনের প্যাকেটে মোড়া ছিল! সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া মাদকের মূল্য প্রায় ২৯ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, মাদক পাচারকারী ওই যাত্রী ব্যাঙ্কক থেকে ভারতে আসেন। ১৯৮৫ সালের মাদকবিরোধী আইনের আওতায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ঘটনার এখনও তদন্ত চলছে।