বৃহস্পতিবার সকালেই কেরালা বিজেপির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থ হতে চলেছেন ৮৮ বছর বয়সী মেট্রোম্যান শ্রীধরণ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যদিও অবস্থান বদল করল দল। এইরকম সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন। তাঁর দাবি সাংবাদিকরা তাঁর কথার অপব্যাখ্যা করেছে।
কে সুরেন্দ্রন বলেন যে তিনি সকালে বলেছিলেন যে শ্রীধরণের নিশ্চিত ক্ষমতা আছে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ও সেটা হলে রাজ্যের পুরো চেহারা বদলে যাবে। কিন্তু তিনি এটা বলেননি যে শ্রীধরণই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্ত শুধু দলের সংসদীয় বোর্ড নিতে পারে বলে তিনি জানান। তবে দলের ভিতরের কথা হচ্ছে নিজের কথা গিলতে বাধ্য হন সুরেন্দ্রন। হাইকম্যান্ড থেকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে আচমকা এই ঘোষণা করার কি দরকার ছিল। সচারচর দল কোনও মুখকে প্রজেক্ট করে না। এছাড়াও শ্রীধরণের বয়সটি নিশ্চিত ভাবেই বড় ফ্যাক্টর। বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মুরলীধরণও প্রথমে শ্রীধরণকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পরে টুইটটি প্রত্যাহার করে নেন। তাঁর সাফাই হচ্ছে যে মিডিয়া রিপোর্ট দেখে তিনি টুইট করেছিলেন কিন্তু পরে জানতে পারেন যে এরকম কোনও ঘোষণাই হয়নি।
দিল্লি সহ সারা দেশে নানান মেট্রো প্রজেক্টের কারিগর শ্রীধরণ ২৫ ফেব্রুয়ারি বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি কোচি বা ত্রিচূড় থেকে ভোটে লড়বেন। যদিও তিনি পালাক্কাড থেকে ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন। বিজেপি কেরালাতে তৃতীয় শক্তি। সরকার গঠনের সেই রকম ভাবে দেখতে গেলে কোনও সম্ভাবনা নেই। তবুও শ্রীধরণের যোগদান দলকে নিশ্চিত ভাবেই শক্তিশালী করেছে কারণ তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনস্বীকার্য ও সকলের শ্রদ্ধা তিনি অর্জন করেছেন তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে। তাই শ্রীধরণকে সামনে রেখে যে দল ভোট লড়তে চাইবে সেটায় তেমন কোনও চমক নেই। তবে আপাতত যে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে না, এদিনের শেষে সেটা কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।