রেজাউল এইচ লস্কর
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন বন্যার কারণে পাকিস্তানে যে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে তা মোকাবিলার জন্য় প্রয়োজনে ভারত থেকে খাবার আমদানি করা হবে। তবে Pak প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কার্যত উড়িয়ে দিলেন এই দাবিকে। পাশাপাশি তিনি ফের এই প্রসঙ্গেও কাশ্মীর ঘটনাকে তুলে আনলেন।
বন্যায় একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থা পাকিস্তানের একাংশে। এখনও পর্যন্ত হাজার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ৩৩ মিলিয়ন দুর্গত মানুষ ঘরছাড়া। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে ব্যাবসার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা ছিল না কিন্তু সেখানে গণহত্যা চলছে আর কাশ্মীরিদের অধিকার রক্ষা করা হচ্ছে না। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে কাশ্মীরিদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। কার্যত গোটা দেশের বড় অংশের মানুষ যখন বিপন্ন তখনও পাক প্রধানদের মুখে কাশ্মীরের কথা।
তিনি বলেন, আমি যাইহোক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বসতে রাজি। কারণ যুদ্ধ করার মতো পরিস্থিতি নেই। আমাদের দেশ থেকে দারিদ্র দূর করতে আমরা আমাদের সামান্য সম্পদকেও কাজে লাগাতে চাই। কিন্তু ওই ইস্যুগুলি না মেটা পর্যন্ত শান্তি ফেরা সম্ভব নয়।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময় আমরা রাজনীতি করতে চাইছি না। তবে এটা ঠিক যে সংখ্যালঘুদের অধিকার ভারতে খর্ব করা হয়।আমরা শান্তি চাইছি এই রিজিয়নে। সহানুভূতির পদক্ষেপের মধ্যে শান্তি আসতে পারে বলেও মতামত দিয়েছেন তিনি। তবে এনিয়ে ভারতের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
তবে পাক অর্থমন্ত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন, সাপ্লাই ক্ষতিগ্রস্ত হলে সবজির আমদানির দরজা খোলা রাখতে হবে। যদি ভারত থেকে সবজি আনা সম্ভব হয় সেটা করব।