উত্তর বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। ক্রমেই ফুঁসতে শুরু করেছে একের পর এক নদী। এদিকে এর জেরে এবার ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটতে শুরু করেছে। রবিবার মুজাফ্ফরপুর- সমস্তিপুর সেকশনে পূর্ব-মধ্যে রেলওয়ে আপাতত ট্রেন চলাচল স্থগিত রেখেছে। ইসিআরএর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, নরকাটিয়াগঞ্জ- মুজফ্ফরপুর স্পেশাল ট্রেনটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি প্লাবিত এলাকাগুলিকে এড়িয়ে চলার জন্য সাতটি ট্রেনকে অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, নেপাল থেকে আসা একাধিক নদীতে জলস্ফীতি হয়েছে। আরারিয়া জেলাতে পারমার ও নোনা নদীতে জলবৃদ্ধি হয়েছে। মধুবনী এলাকায় কমলা নদীতে এক কিশোরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। জলসম্পদ উন্নয়নের তরফে জানা গিয়েছে গণ্ডক, বুড়ি গণ্ডক, কোশি, মহানন্দা, কমলা সহ বিভিন্ন নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। মন্ত্রী সঞ্জয় ঝাঁ জানিয়েছেন, আপাতত নদীর বাঁধগুলি সুরক্ষিতই রয়েছে।
এদিকে মুজফ্ফরপুরে বাগমতী নদীর জলস্ফীতির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আরারিয়া জেলাতে নোনা নদীর জলে অন্তত ডজনখানেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বহু জায়গায় পানীয় জলের অভাব তৈরি হয়েছে। দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা সরকারি ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে নদীর জলে একাধিক রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের দাবি, ‘যাতায়াতের সমস্যার জন্য ত্রাণ পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। তবে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।’