'কংগ্রেসের জালিয়াতি, কংগ্রেসের জন্য জালিয়াতি, কংগ্রেসের করা জালিয়াতি।' ২০০৫ সালের অ্যান্ট্রিক্স-দেভাস মাল্টিমিডিয়া চুক্তি মামলায় এমনই ভাষায় আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি দাবি করলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে 'বিস্তারিত' রায় দিয়েছে, তাতেই 'কংগ্রেসের ক্ষমতার অপব্যবহারের' বিষয়টি প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। ইউপিএ সরকারের লোভের কারণে পুরো জালিয়াতি হয়েছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সীতারামন বলেন, 'ইউপিএ সরকারের আমলে দেভাসের সঙ্গে চুক্তি করেছিল অ্যান্ট্রিক্স। সেই চুক্তি জালিয়াতি ছিল। ভারতের মানুষের সঙ্গে জালিয়াতি। দেশের বিরুদ্ধে জালিয়াতি।' তিনি অভিযোগ করেন, উপগ্রহ, স্পেকট্রাম ব্যান্ড, ওয়েভ লেংথের মতো বিষয়গুলি বেসরকারি ক্ষেত্রের হাতে বেচে দিয়ে টাকা কামিয়েছিল কংগ্রেস। বিশেষত এস ব্যান্ড স্পেকট্রাম তো শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘সামান্য টাকার’ জন্য বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। যা ইউপিএ সরকারের বৈশিষ্ট্য ছিল।
২০০৫ সালে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যান্ট্রিক্সের সঙ্গে দেভাস মাল্টিমিডিয়া চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, লিজ দেওয়া এস ব্যান্ড স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম ব্যবহার করে মোবাইল ব্যবহারকারী মাল্টিমিডিয়া পরিষেবা প্রদান করা হত। কিন্তু ব্রডব্যান্ড নিলামের প্রক্রিয়া জালিয়াতির অভিযোগে বিদ্ধ হওয়ায় ২০১১ সালে সেই চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথে হেঁটেছিল দেভাস। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা গড়িয়েছিল। শেষপর্যন্ত সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অ্যান্ট্রিক্স-দেভাস মাল্টিমিডিয়া চুক্তিটি ‘বিশাল মাপের জালিয়াতির মামলা। যা পাপোশের তলায় ঢুকিয়ে রাখা যায় না।’
সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় রেশ ধরে মঙ্গলবার সীতারামন বলেন, ‘ইউপিএয়ের লোভের কারণে এটা হয়েছে। জালিয়াতির বিষয়টি যাতে ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য (নরেন্দ্র মোদী) সরকার প্রতিটি আদালতে লড়াই করছে। আমরা করদাতাদের টাকা বাঁচানোর জন্য লড়াই করছি। নাহলে তা কলঙ্কিত অ্যান্ট্রিক্স-দেভাস চুক্তির জন্য বেরিয়ে যেত।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার কংগ্রেসকে বলতে হবে যে কীভাবে ভারতের মানুষের সঙ্গে জালিয়াতি করা হয়েছিল।’