অশান্ত বাংলাদেশ। তারই মাঝে ক্রমেই সীমান্তে আটোসাঁটো হচ্ছে প্রহরা। এদিকে, বাংলা জুড়ে বহু জায়গা থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের গ্রেফতার হওয়ার খবর আসছে। কয়েকদিন আগে বিএনপি নো নামে পরিচয় দিয়ে এক গা ঢাকা দিয়ে ভুয়ো পরিচয়পত্রধারী বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সদ্য আওয়ামি লিগের ৪ নেতাকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ, ছিনতাইয়ের অপরাধে গ্রেফতার করা হয় নিউটাউনে। এবার খবর মহারাষ্ট্রের ঠানে থেকে।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ঠানেতে ৫ বাংলাদেশি মহিলা কোনও বৈধ কাগজ ছাড়াই বসবাস করছিলেন। তাঁদের কথা গোপন সূত্রে জানতে পেরেই তৎপর হয় মহারাষ্ট্র পুলিশ। মহারাষ্ট্রের ঠানের ভিওয়ান্ডি এলাকায় একটি বস্তিতে সদ্য তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই বস্তিতেই ওই ৫ বাংলাদেশি মহিলা বসবাস করছিলেন একটি বাড়িতে, বলে খবর। তাঁদের একটি বাড়ি থেকে একসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। গ্রেফতারির আগে, তাঁদের কাছে বৈধ নথি দেখতে চায় পুলিশ। তবে তাঁদের কাছে তা ছিল না, বলে জানা যায়। এই মহিলাদের বিরুদ্ধে ফরেন ন্যাশনাল অ্যাক্ট ও ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট অ্যাক্ট-র আওতায় এফআইআর দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই বাংলাদেশি মহিলাদের বয়স ৩৬ থেকে ৫০ বছর। তাঁরা কেউই ভারতে থাকার বৈধ নথি দেখাতে পারেননি বলে জানা যাচ্ছে। যাঁরা ওই ৫ মহিলাকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয় বলে খবর।
নিউটাউনে আওয়ামি লিগ নেতা গ্রেফতার:-
মহারাষ্ট্রের ঠানের পাশাপাশি কলকাতাতেও অবৈধ অনুপ্রবেশের জেরে ৪ বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছেন। অনুপ্রবেশ ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে কলকাতায় নিউটাউন থেকে একের পর এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ৪ বাংলাদেশি, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে আসেন। ধৃত চার জনের মধ্যে আছেন সিলেট জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুব লীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুব লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল। রবিবার কলকাতায় এক ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশ ও মেঘালয় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।