দেশাত্মবোধ ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে ফারাক করতেন না মহাত্মা গান্ধী বলে জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। শুক্রবার একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন তিনি।
বইটির নাম- মেকিং অফ আ হিন্দু প্যাট্রিয়ট-ব্য়াকগ্রাউন্ড অফ গান্ধীজিস হিন্দ স্বরাজ। লিখেছেন জেকে বাজাজ ও এমডি শ্রীনিবাস। বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে ভাগবত বলেন যে গান্ধীজির কাছে দেশাত্মবোধ আসত তাঁর ধর্মের থেকে। কেউ হিন্দু হলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি দেশপ্রেমী হবেন বলে গান্ধীজি মনে করতেন বলে জানান সরসংঘচালক।
বইয়ে লিও টলস্টয়কে লেখা গান্ধীজির কথা তুলে ধরেছেন লেখকরা। সেখানে গান্ধীজি বলেছেন, আমার দেশাত্ববোধ খুবই ধৈর্যশীল, ভারতের প্রতি ভালোবাসা ক্রমশ বাড়ছে, কিন্তু এটা আমার ধর্ম থেকে পাওয়া।
এই কথাকে ধরেই ভাগবত বলেন যে গান্ধীজি নিজের কাজেও এর ছাপ রেখেছেন। হিন্দু ধর্ম যে সব ধর্মকে নিয়ে চলতে পারে, গান্ধীজির সেই কথাকেই তুলে ধরেন আরএসএস প্রধান। বিভেদ মানেই বিচ্ছিন্নতাবাদ নয়, সেটাও বলেন তিনি।
গান্ধীজির স্বরাজ মন্ত্রকে নিজের মতো ব্যাখ্যা করে মোহন ভাগবত বলেন যে এটা শুধু ব্রিটিশদের সরানোর ডাক ছিল না, ভারতীয় সংস্কৃতির যে মূল্য়বোধ সেই অনুযায়ী নয়া সমাজ গঠনেরও আহ্বান ছিল। তবে তাঁরা গান্ধীজির ওপর এখন নিজেদের অধিকার ফলাচ্ছেন, এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ভাগবত। তিনি বলেন মহাত্মা গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তিত্বকে কেউই নিজের বলে দাবি করতে পারেনা, তিনি সবার।
প্রসঙ্গত, মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের হিন্দু মহাসভা আরএসএসের আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে অনেকে অভিযোগ করেন। গান্ধীর মৃত্য়ুর পর কিছুদিনের জন্য আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়।