এক অবিবাহিত মহিলার গর্ভপাতের আর্জি সদ্য খারিজ করে কেরল হাইকোর্ট জানিয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা, বা সামাজিকভাবে অসম্মানের শিকার হওয়ার মতো ঘটনা গর্ভপাতের অধিকারের আর্জির জন্য কার্যকর হবে না ‘মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট’-এ।
গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে কোল্লামের ২১ বছর বয়সী এক মহিলা কেরল হাইকোর্টে আর্জি জানান। বিচারপতি ভিজি অরুণের বেঞ্চ সেই আর্জির নিরিখে জানান, যে মেডিক্যাল তথ্য রয়েছে তা গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়ার বিপক্ষে রয়েছে। তিনি বলেন, রিপোর্টে রয়েছে, ‘এই গর্ভাবস্থা ২৮ সপ্তাহের। আর ভ্রূণের বা তার মায়ের কোনও জটিলতা নেই। ’ বিচারপতি বলেন, গর্ভাবস্থার মেডিক্যাল জটিলতা না থাকলে শুধুমাত্র আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অবস্থা বা সামাজিকভাবে একঘরে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা গর্ভপাতের ঘটনার আর্জির জন্য যথেষ্ট নয়। উল্লেখ্য, আবেদনকারী মহিলা আদালতকে বলে যে, তিনি ও তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভূক্ত। তাছাড়া এই গর্ভপাত না হলে সামাজিকভাবে তাঁরা একঘরে হতে পারেন আশঙ্কাও রয়েছে তাঁর। এই পরিস্থিতি সামনে রেখে তিনি গর্ভপাতের আর্জি জানান।
ঘুম হচ্ছে না, জল কম খাচ্ছেন? রোজের কয়েকটি সমস্যা কোন স্বাস্থ্য সংকট ডেকে আনে!
আবেদনকারী জানিয়েছেন, গত ১ বছর ধরে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন। তাঁর গর্ভাবস্থা সহমতক্রমে হয়েছে। তিনি মনে করেছিলেন, যে, তাঁর সঙ্গে সহবাসে থাকা ব্যক্তি তাঁকে তার প্রতিশ্রুতিমতো বিয়ে করবেন। বিয়ে করার আগে ধর্মান্তরিতকরণের কথাও বলা হয়। তবে, আবেদনকারী মহিলা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তাঁর গর্ভাবস্থার পর ওই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ে করতে চাইছেন না। এরফলেই তিনি গর্ভপাতের রাস্তা বেছে নিতে বাধ্য হন।