গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, আগামী ৪৯ বছরের মধ্যে ভারতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যে গিয়ে ঠেকবে। এদিকে ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতকে যদি নেট-শূন্য নির্গমনের সাহসী লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয়, তাহলে দেশের সৌর বিদ্যুতের ক্ষমতা ৫,৬০০ গিগাওয়াটের উপরে নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া বিদ্যুৎ খাতে কয়লা ব্যবহার ২০৬০ সালের মধ্যে ৯৯ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে অপরিশোধিত তেলের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমাতে হবে ভারতকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানাল দিল্লি ভিত্তিক অলাভদায়ক সংস্থা CEEW ইন্ডিয়া (কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার)।
এদিকে মোদীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জুড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও। এদিন একটি টুইট করে কংগ্রেস নেতা লেখেন, 'গ্লাসগোতে প্রধানমন্ত্রীর বড় ঘোষণা করা এখ বিষয়। আর দেশে তাঁর সরকারের কর্মকাণ্ড অন্য এক ব্যাপার। সমস্ত পরিবেশ ও বন আইন শিথিল করা হচ্ছে। যাবতীয় মান শিথিল করা হচ্ছে, এবং প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে দুর্বল করা হচ্ছে। এটি বাস্তবতা - ২০৭০-এর জন্য কিছু দূরবর্তী কোনও প্রতিশ্রুতি নয়।'
এদিকে এর আগে সোমবার জলবায়ু সম্মেলনে মোদী বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী চিন্তাভাবনার মধ্যে আমি ভারতের তরফ থেকে পাঁচটি অমৃত তত্ত্ব পেশ করতে চাই। পঞ্চামৃতের উপহার দিতে চাই। প্রথমত, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত অজীবাশ্ম শক্তির পরিমাণ ৫০০ গিগাওয়াটে নিয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, ২০৩০ সালের মধ্যে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়, তার ৫০ শতাংশ পুনর্নবীকরণ শক্তির মাধ্যমে পূরণ করবে ভারত। তৃতীয়ত, এখন থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে, তা এক বিলিয়ন টন কম করা হবে। চতুর্থত, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কম করবে ভারত। পঞ্চমত, ২০৭০ সালের মধ্যে ভারত শূন্যের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে ভারত (কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ)। এই পঞ্চামৃতের মাধ্যমে জলবায়ু রক্ষায় অভূতপূর্ণ অবদান রাখবে ভারত।' তবে মোদীর এই প্রতিশ্রুতির উপর প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে বিভিন্ন স্তরে।