টানা তৃতীয়বারের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। জওহরলাল নেহরুর পর তিনিই দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি এই পদে হ্যাটট্রিক করেছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে রবিবার সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ মন্ত্রিসভার ৭১ জন মন্ত্রী। তারপরেই মন্ত্রক বন্টন করা হয়। তবে এবার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রিসভায় একাধিক চমক দেখা গিয়েছে। এই মন্ত্রিপরিষদে স্বাধীনতার পর এই প্রথম যেমন কোনও মুসলিম প্রতিনিধি নেই, তেমনি আবার এই প্রথম সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন বৌদ্ধ ধর্মের কোনও সাংসদ। মোদী ৩.০ মন্ত্রিসভায় এবার সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেরেছেন কিরেণ রিজিজু। তাঁকে সাহায্য করবেন প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়েন, যিনি একজন খ্রিস্টান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী বাছতে বিশেষ ফর্মুলা মোদীর, পাখির চোখ বিধানসভা ভোট…
২০০৬ সালের জানুয়ারিতে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক গঠিত হয়েছিল। তারপর থেকেই ২০২২ সাল পর্যন্ত এই মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল একজন মুসলিমের হাতে। মুসলিম মুখ হিসেবে শেষবার এই মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন মুখতার আব্বাস নকভি। তবে ২০২২ সালের জুলাই মাসে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্মৃতি ইরানিকে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের পাশাপাশি এই মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপর থেকে এই মন্ত্রকের দায়িত্বে আর কোনও মুসলিম মন্ত্রী নেই।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের পর থেকে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্বে যে সমস্ত মুসলিম প্রতিনিধিরা ছিলেন তাঁরা হলেন- এ আর আন্তুলে। তিনি ২০০৬ সালের জনুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের মে পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। তারপর সলমন খুরশিদ ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এই মন্ত্রক সামলেছেন। কে রেহমান খান ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। নাজমা হেপতুল্লা ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন এবং তারপর ছিলেন নকভি।
কিরেণ রিজিজু অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি এর আগে ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের আর্থ সায়েন্সেস এবং ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন।
এর আগে তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া আইনমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় তিনি বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।