সুষমা স্বরাজের পর বিদেশমন্ত্রীর পদে মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় বিদেশমন্ত্রী হয়ে ওঠেন এস জয়শঙ্কর। এর আগে তিনি বহুকাল কূটনীতিবিদ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কেন অন্যান্য পেশা ছেড়ে তিনি কূটনীটিবিদ হিসাবে নিজের কেরিয়ার গড়ার দিকে এগিয়েছিলেন? এই প্রশ্ন উঠে আসে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার তরফে। যেখানে বক্তব্য রাখছিলেন খোদ বিদেশমন্ত্রী।
পড়ুয়ার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর ফিরে যান তাঁর ছোবেলার দিনগুলির কথায়। জানান, তাঁর কূটনীতিবিদ হওয়ার নেপথ্যে অভিভাবকদের ভূমিকা, তবে রয়েছে আরও ২ টি জিনিসের প্রভাব। এর একটা বড় ভূমিকা ছিল। জয়শঙ্কর বলেন, 'কেন আমি বিশ্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আগ্রহ পেলাম? আমার মনে হয়, এর একটা অংশ হল সম্ভবত সঙ্গীতের প্রতি আমার আগ্রহ। যখন গান শোনা হয়, তখন নিজের থেকে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া যায়, কৌতূহল জাগে, কোথা থেকে এই সুর এল, কোন ধরনের মানুষ সেখানে।' তিনি জানান, ১৯৫৯ সালের আমেরিকান অ্যালবাম 'দ্য হিটমেকার্স' শুনতে তিনি পছন্দ করেন, এখনও নস্টালজিয়া উস্কানি দিতে তিনি এই গানের অ্যালবাম শোনেন। জয়শঙ্কর জানান, গানের পরই খাবার তাঁকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার বিষয়ে আগ্রহী করে। উল্লেখ্য, বিশ্ব সম্পর্কে সেই আগ্রহই এককালে তাঁকে কূটনীতিবিদের আসন দেয় বলে জানান বিদেশমন্ত্রী। আরও পড়ুন-ঘটি-বাঙাল একযোগে চেটেপুটে খাবে এই খাবার! বাংলাদেশী রান্নার ভিডিয়ো মিস করেননি তো?
বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের বাবা 'রকেফেলার ফেলো' নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখেন। সেই সময়ের ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, 'আমার যখন ১০ বছর বয়স, তখন আমি এখানে আসি, বাবা ফেলোশিপ পাওয়ার পর।' তিনি বলেন, সেই সময় থেকেই তাঁর জীবনে শিক্ষার একটা বড় প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন,'অভিভাবকদের প্রভাব আমার ওপর পড়তে থাকে', তিনি বলেন, দশ বছর বয়স থেকে এই ঘটনা তাঁকে কূটনীতিবিদ হওয়ার বিষয়ে আগ্রহী করেছে। তিনি বলেন, বিদেশে কিছু ঘটলেই বাড়িতে তখন উত্তেজনার একটা পরিবেশ তৈরি হত, আর তাই প্রভাব ফেলেছিল বিদেশমন্ত্রীর জীবনে।