অসমের শিলচল সংশোধনাগারের মধ্যেই ছিল ফরেনার্স ডিটেনশন সেন্টার। সেখানেই এতদিন আটক ছিলেন ৬৭ বছর বয়সী মণীন্দ্র দাস। অসমের কাছার জেলার ওই বাসিন্দার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। শনিবার বিকালে মুক্তি পেয়েছেন তিনিও। সেই নিরিখে আর কেউ থাকল না তথাকথিত এই ডিটেনশন ক্যাম্পে।
'ডি ভোটার' অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি ৬৭তম যাঁকে জামিনে মুক্তি দিল আদালত। বরাক ভ্যালির ১০২ বছর বয়সী চন্দ্রধর দাস ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। তাঁকেও ‘ডি ভোটার’ হিসাবে আটক করা হয়েছিল। বরাক উপত্যকার আর কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পে কোনও ডি ভোটার আর রইল না।
এবার একটু পিছন ফিরে দেখা যাক। ২০১৫ সালে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল কোর্ট থেকে মনীন্দ্র দাস একটি নোটিস পেয়েছিলেন যেখানে তাঁকে পরিচয় প্রমাণ করতে বলা হয়েছিল। তিনি বার বার আদালতের কাছে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর আইনজীবীর মৃত্য়ু হওয়াতে তিনি কয়েকটি তারিখ মিস করেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় আদালত। ২০১৯ এর ৮ মে থেকে তিনি বন্দি ছিলেন ডিটেনশন ক্যাম্পে। এদিন মুক্তি পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয়। এই মাটিকে ভালোবাসি অন্যান্য নাগরিকের মতোই। কিন্তু মানুষ আমাকে এখন অন্য চোখে দেখবে। এখন আমার পরিবারকে দেখে টিপ্পনি কাটবে অন্যান্যরা। গোটা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত অপমানজনক। কিন্তু কাউকে দোষ দিতে চাই না। এটা আমার ভাগ্যে ছিল।’
শিলচর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সত্যেন্দ্র বৈশ্য় বলেন, ‘শুনানির কিছুদিন মিস করার জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে অনেকেই মুক্ত হয়েছিলেন। শেষজনও মুক্তি পেলেন এদিন। ২০১৯ এর পর থেকে আর কেউ নতুন আটক ব্যক্তি আসেননি এখানে।’