এবার রাজনীতির বাইরে বড় খবর ঘটে গেল। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলা থেকে ১৫টি উটকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই উটগুলিকে হরিয়ানা থেকে মালদহে নিয়ে আসার ছক ছিল। কারণ সেখানের সীমান্ত দিয়ে উটগুলিকে বাংলাদেশে পাচার করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই পাচারকারীদের ধরে ফেলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, এখানে ৯ জনের একটা দল কাজ করছিল। তিনজন ছিল পাচার করা গাড়ির সঙ্গে। আর বাকি ৬ জন বন দফতরের আধিকারিকদের ঘুষ দিতে এসেছিল। যাতে তাদের না ধরা হয়। উট–সহ সবাইকে একসঙ্গে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এর পেছনে আন্তর্জাতিক পাচার চক্র রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে পাকুর জেলার বন দফতরের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (ডিএফও) রজনীশ কুমার বলেন, ‘১৫টি উট উদ্ধার করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে তা পাচার করা হচ্ছিল। এখন বড় চ্যালেঞ্জ এই উটগুলিকে যত্ন করে রাখা। কারণ এখানে সেই পরিকাঠামো নেই এবং প্রশিক্ষিত লোক নেই রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য।’
পাকুড় বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার অনিল কুমার সিং বলেন, ‘আমার কাছে খবর এসেছিল বেআইনিভাবে উট পাচার করা হচ্ছিল। মধ্যরাতে সেই পাচার আটকেছি দলবল নিয়ে গিয়ে। আর উদ্ধার করেছি উটগুলিকে।’ তবে তিনি জানান, জেরার মুখে পড়ে চালক, খালাসি এবং শ্রমিক তথ্য দিয়েছে। তারা বলেছে, এই উটগুলি হরিয়ানা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর সিক্রিতে এগুলি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে অন্য চালক ও খালাসি উটগুলিকে নিয়ে মালদহে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
এরপর একটা ফোন আসে ঘুষ দেওয়ার জন্য। তখন তাদের এখানে আসতে বলা হয়। তারা ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে এগুলি ছেড়ে দিতে বলে। তখন তাদেরও গাড়ি–সহ গ্রেফতার করা হয়। এই উটগুলিকে রাজস্থানে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান অনিল কুমার সিং।