NEW DELHI :
শুক্রবার ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি মেয়াদের শেষ দিন। কিছুটা হলেও আবেগ বিহ্বল তিনি।
শুক্রবার তাঁর শেষ কর্মদিবসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন 'কাউকে আঘাত করে থাকলে ক্ষমা' করে দেবেন।
তিনি বলেন, ‘এই আদালতই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এমন লোকদের সাথে দেখা করি যাদের আমরা সম্ভবত চিনি না। আমি আপনাদের সকলকে এবং আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই এবং আগের মামলার মতো কোনও মামলা নেই। আমি যদি আদালতে কখনও কাউকে আঘাত করে থাকি তবে আমি চাই আপনি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন। এত বিপুল সংখ্যায় আসার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ’ বিদায়ী ভাষণে বলেন তিনি।
এরপর প্রধান বিচারপতি হবেন সঞ্জীব খান্না। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর অবসর উপলক্ষে একটি আনুষ্ঠানিক বেঞ্চের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তাঁর শেষ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন সেরিমোনিয়াল বেঞ্চের আগে আমি যতটা পারি ততটা সম্ভব শুনানি শুনতে চেয়েছিলাম। নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি।
'গতকাল যখন আমার আদালতের কর্মীরা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে আনুষ্ঠানিক বেঞ্চ কখন তালিকাভুক্ত করা হবে, তখন আমি বলেছিলাম যে আমি যতটা সম্ভব কাজ করব ... দু'বছর আগে নভেম্বরে দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়া প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'আমি শেষবার পর্যন্ত ন্যায়বিচার করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।
২০১৬ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, তাঁর শেষ ভাষণে এত মানুষ উপস্থিত থাকায় তিনি 'বিনীত' বোধ করছেন।
'গত রাতে ভাবছিলাম দুপুর ২টায় কোর্ট খালি হয়ে যাবে এবং আমি পর্দায় নিজেকে দেখব। আপনাদের সকলের উপস্থিতিতে আমি আপ্লুত। আমরা এখানে তীর্থযাত্রী, পাখি হিসেবে অল্প সময়ের জন্য এসেছি, আমাদের কাজ করেছি এবং চলে এসেছি।
তাঁর উত্তরসূরি বিচারপতি খান্না সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁকে 'এত স্থিতিশীল, দৃঢ় এবং মর্যাদাবান' ব্যক্তি বলে অভিহিত করেছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
এদিকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে শেষ দিনের ভাষণে কিছুটা হলেও আবেগ বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তাঁর কথা মন ছুঁয়ে গিয়েছে অনেকের। ‘কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।’ কিংবা ‘আমরা এখানে তীর্থযাত্রী, পাখি হিসেবে অল্প সময়ের জন্য এসেছি, আমাদের কাজ করেছি এবং চলে এসেছি।’