তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন অসমের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কিরিপ চালিহা। সম্প্রতি এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর চলাকালীন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কিরিপ চালিহা। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে অসমে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠিত করতে দলে নেওয়া হতে পারে প্রাক্তন এই সাংসদকে।
উল্লেখ্য, কয়েকবছর আগেও অসম কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে নাম নেওয়া হত কিরিপের। তবে বর্তমানে দলের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন কিরিপ। কংগ্রেস কমিটি থেকে ইস্তফা করার আবেদন জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন। যদিও সেই চিঠি গ্রহণ করেনি কংগ্রেস হাইকমান্ড। তবে কিরিপ মন স্থির করে নিয়েছেন যে তিনি হাত শিবিরের সঙ্গে আর থাকবেন না।
এদিকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কিরিপ নিজে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। তবে এখনই চূড়ান্ত কোনও ঘওষণা করছেন না তিনি। তবে তৃণমূলে যোগ দিতে চান বলেই মমতার সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সংবাদমাধ্যমে কিরিপ বলেন, 'এখনই যোগদানের বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে অসমের বহু মানুষ যাঁরা দীর্ঘ দিন কংগ্রেস করে এসেছেন, তাঁরা সনিয়াজির নেতৃত্বে যতটা স্বচ্ছন্দ রাহুলের সঙ্গে ততটা নন। তাঁরা মনে করেন কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-র বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি। আমি মমতাজির সঙ্গে দেখা করে বলেছি, আপনি এখন কেবল বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এগিয়ে আসুন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে আমরা আপনাকে সাহায্য করব।' কিরিপের বক্তব্য, আমরা মনে করি যে ২০২৪ সালে মমতাই পারবেন মোদীকে হারাতে।
উল্লেখ্য, টানা তৃতীবারের জন্য বাংলা জয় করার পর মমতার নজর এখন দিল্লির দিকে। সেই লক্ষ্যে বাংলার বাইরে দলের সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। এরজন্যে উত্তরপূর্বের ত্রিপুরাকে প্রথমেই বেছে নিয়েছে তৃণমূল। তাছাড়া অসমেও নজর রয়েছে তৃণমূলের। কিরিপ বাদে অসমের এক নির্দলীয় সাংসদকেও দলে নেওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে তৃণমূল।