শীঘ্রই নয়া দলের ঘোষণা করতে চলেছেন অমরিন্দর সিং। এমনটাই জানালেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা রবিন ঠুকরাল। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন বণ্টনের বিষয়েও আশাবাদী ক্যাপ্টেন। তার আগে কৃষি আন্দোলনের সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন বলেন, 'পঞ্জাবের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই শুরু। পঞ্জাব এবং এক বছরের বেশি সময় ধরে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করা কৃষক-সহ রাজ্যের মানুষের স্বার্থ পূরণের জন্য আমি শীঘ্রই নিজের দলের ঘোষণা করব।' সেইসঙ্গে তিনি জানান, ২০২২ সালের ‘সিরিজ’ জিততে বিজেপি, অকালি দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে আসন বণ্টনেও কোনও আপত্তি নেই। অমরিন্দর বলেন, ‘যদি কৃষকদের স্বার্থ পূরণ করে কৃষক আন্দোলনের বিষয়টি সমাধান করা যায়, তাহলে ২০২২ সালে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন বণ্টনের বিষয়ে আশাবাদী। সেইসঙ্গে অকালি দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া ধিন্দসা ও ব্রহ্মপুরা গোষ্ঠী-সহ সম-মানসিকতা সম্পন্ন দলের সঙ্গে জোট করতেও তৈরি আছি।’
মাসখানেক আগেই পঞ্জাবের ‘অধিনায়কত্ব’ ছেড়ে দেন অমরিন্দর। ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পর বলেছিলেন, 'আজ সকালেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সকালেই কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। গত দু'মাসে তৃতীয়বার এরকম ঘটনা (পরিষদীয় বৈঠক) ঘটল। বিধায়কদের দু'বার দিল্লিতে ডেকে নেওয়া হল। তৃতীয়বার বৈঠক করা হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে যে আমার উপর যেন সন্দেহ আছে। আমি চালাতে পারছি যেন। আমি অপমানিত বোধ করছি। যাঁর উপর ভরসা আছে, তাঁকে (মুখ্যমন্ত্রী) করে দিক হাইকমান্ড।' সেই সময় নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ স্পষ্ট না করলেও এবার খোলাখুলি সে বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন অমরিবন্দর।
মঙ্গলবার অমরিন্দর বলেন, ‘যতক্ষণ না আমার রাজ্যবাসী ও আমার রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে না পারা পর্যন্ত আমি থামব না। পঞ্জাবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত হুমকি থেকে সুরক্ষার প্রয়োজন আছে। শান্তি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যা প্রয়োজন, আমি তাই করব। যা আজ বিপদের মুখে আছে।’