বৃদ্ধের ঘাড়ের উপর প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি! অন্ধ্রপ্রদেশে বিপাকে জগনমোহন রেড্ডি

কনভয়ের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান জগনমোহন রেড্ডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। শুধু জগনমোহন নয় তাঁর গাড়ির চালক রমনা রেড্ডির বিরুদ্ধেও এফআইআর হয়েছে। সম্প্রতি দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপরেই জগনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। এরপর পদক্ষেপ করে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশও। ফলে নিজেরই রাজ্যে বিপাকে পড়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার ইয়েতুকুরুতে। জগনমোহন রেড্ডি একজন ওয়াইএসআরসিপি বাড়িতে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। তাঁকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে চিলি সিঙ্গাইয়াও ছিলেন। জগনের উপর ফুল বর্ষণ করতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, সিঙ্গাইয়া মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরেও গাড়িটি থামেনি। তাঁর ঘাড়ের উপরে উঠে যায় জগনের গাড়ি চাকা। আর এই দৃশ্য দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা আতঙ্কে চিৎকার করে উঠেছিলেন। কিছুদূর গিয়ে থেমেছিল গাড়িটি। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছিল। পরে পুলিশ এসে সিঙ্গাইয়াকে গুন্টুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এরপরেই জগনমোহনের গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।গুন্টুর জেলার পুলিশ সুপার এস. সতীশ কুমার নিশ্চিত করেছেন যে ‘এ.পি. ২৬ সিই ০০০১’ নম্বরের গাড়িটি ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দেয়, অ্যাসিস্টান্ট সাব ইন্সপেক্টর রাজশেখর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসকেরা তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, 'পুলিশ জোরালো প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে সিঙ্গাইয়াকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কা দিয়েছিল।' কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে, ব্যক্তির অবস্থা পরীক্ষা না করেই কনভয়টি তার পথে চলতে থাকে। এই ঘটনায় জগন, তার ড্রাইভার রমনা রেড্ডি, প্রাক্তন সাংসদ ওয়াইভি সুব্বারেড্ডি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী বিদাদলা রজনী এবং পেরনি নানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এসপি সতীশ কুমার জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, অভিযোগের ভিত্তিতে এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।