১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গায় দিল্লির সরস্বতী বিহারে ২ ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে এদিন দোষী সাব্যস্ত হলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ সজ্জন কুমার। বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট এই রায় দিয়েছে।
সাল ১৯৮৪। তারিখ ১ নভেম্বর। অভিযোগ, সেই সময় তৎকালীন কংগ্রেসের সাংসদ সজ্জন কুমারের নেতৃত্বে একদল জনতা গিয়ে দিল্লির সরস্বতী বিহারের দুই ব্যক্তিকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। সম্পর্কে ও দুই ব্যক্তি ছিলেন পিতা ও পুত্র। জসওয়ান্ত সিং ও তাঁর ছেলে তরুণদীপ সিংয়ের সেই মৃত্যুর মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কংগ্রেসের এই প্রাক্তন সাংসদ। অভিযোগ, রয়েছে ওই দুজনের খুনের পাশাপাশি সেদিন, তাঁদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ, আর তা করা হয়, সজ্জন কুমারের নির্দেশে। স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের তদন্তে এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, কোর্টে, সজ্জন কুমারের সাজার ঘোষণার শুনানি ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হবে বলে জানা গিয়েছে। আজ তাঁকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আরও একটি শিখ দাঙ্গা সম্পর্কিত মামলায় সজ্জন কুমার আপাতত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন। তারই মাঝে এল, সরস্বতী বিহারের এই ঘটনার মামলা। এদিন বিশেষ বিচারপতি কাবেরী বাওয়েজা এই রায় দান করেন। রায় ঘোষণার জন্য সজ্জন কুমারকে তিহার জেল থেকে আদালতে পেশ করা হয়।
কী ঘটেছিল ১৯৮৪র সেই দিনে?
কোর্টে সওয়াল জবাব পর্বে বিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার প্রতিশোধ নিতে বিপুল সংখ্যক এক জনগোষ্ঠী লুঠ, ভাঙচুর শুরু করেছিল। সেই সময়ই দিল্লির সরস্বতী বিহারে ক্ষিপ্ত জনতা জসওয়ান্ত সিং ও তাঁর ছেলেকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। কোর্টের নির্দেশে বলা হচ্ছে, সেই জনতার মধ্যে সজ্জন কুমার শুধু সামিলই ছিলেন না, তিনি সেই জনতাকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। এবিষয়ে কোর্টের কাছে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।