ডেনমার্কের সাংসদ ইঙ্গা স্টোইব্যার্গ ২০১৬ সালে অভিবাসনমন্ত্রী থাকাকালীন একটি নির্দেশ জারি করেছিলেন৷ সে কারণে ডেনমার্কের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ২৩ দম্পতিকে আলাদা করা হয়েছিল৷
দম্পতিদের মধ্যে কোনও একজনের বয়স ১৮-র নীচে হলে তাঁকে আলাদা করে অন্য জায়গায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্টোইব্যার্গ৷ কিন্তু তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ায় সেই নির্দেশ স্থগিত করা হয়েছিল৷ এমন নির্দেশ দেওয়ায় স্টোইব্যার্গের বিচার হবে কিনা, তা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে সংসদে ভোটাভুটি হয়েছিল৷ তাতে ১৭৯ জন সাংসদের মধ্যে ১৩৯ জন স্টোইব্যার্গের বিচারের পক্ষে ভোট দেন৷
বৃহস্পতিবার সেই বিচার শুরু হয়েছে৷ ডেনমার্ক সরকারের প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যদের বিচারের জন্য একটি বিশেষ আদালত আছে৷ ১৯১০ সালের পর মাত্র দু'বার সেই আদালত বসেছে৷ শুনানির জন্য মোট ৪৬ দিন নির্ধারণ করেছে ‘দ্য কোর্ট অফ ইমপিচমেন্ট’ নামের ওই বিশেষ আদালত৷ এই আদালতে বিচারকের সংখ্যা ২৬ জন৷
স্টোইব্যার্গ ‘ইউরোপিয়ান কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস’ লঙ্ঘন করেছেন কিনা, তা যাচাই করবেন বিচারকরা৷ এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে সংসদীয় কমিটির কাছে ‘মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য’ দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে৷ স্টোইব্যার্গ অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি সংসদে দাবি করেন, তিনি কোনও আইনভঙ্গ করেননি৷ বাল্যবিবাহ রোধে তিনি ‘শুধু রাজনৈতিক ও মানবিক কাজ’ করেছেন বলে দাবি করেন স্টোইব্যার্গ৷ তিনি বলেছিলেন, ‘চিন্তা করে দেখুন, ডেনমার্কের মতো দেশে যেখানে সবাই সমান সেখানে বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া এক মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে থেকে মুক্তি পাবার সুযোগ দেয়ার বদলে রাষ্ট্র তাকে আশ্রয়কেন্দ্রে জোর করে একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করছে৷’
আলোচিত মন্ত্রী
২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অভিবাসনমন্ত্রী ছিলেন স্টোইব্যার্গ৷ এই সময় অভিবাসীদের অধিকার কমাতে তিনি আইনে ১১০টির বেশি সংশোধনী এনেছিলেন৷ আইনে ৫০ তম সংশোধনী আনা উদযাপনের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি৷ ডেনমার্কে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মূল্যবান জিনিসপত্র জব্দ করে তা দিয়ে তাদের ডেনমার্কে থাকা-খাওয়ার অর্থায়নের আইনও পাস করেছিলেন স্টোইব্যার্গ৷