ভারতীয় রাজনীতিতে ফের ইন্দ্রপতন। দীর্ঘ রোগভোগের পর মৃত্যু হল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাঁর জীবনাবসান হয়।
হিমাচল প্রদেশের সিমলার Indira Gandhi Medical College (IGMC)-এ সকাল ৩.৪০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সোমবার হার্ট অ্যাটাকের পর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রীর।
হিমাচল রাজনীতির সঙ্গে কার্যত সমার্থক ছিলেন বীরভদ্র। যদিও শেষ বয়সে পরপর তিনমাসের মধ্যে দুইবার কোভিডে আক্রান্ত হন তিনি। এপ্রিল ৩০ থেকেই হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর ৮৭তম জন্মদিন পালন করেন স্ত্রী প্রতিভা ও ছেলে বিক্রমাদিত্য।
১৯৮৩-১৯৯০ প্রথমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। তারপর ১৯৯৩-১৯৯৮, ২০০৩-২০০৭ ও শেষবারের জন্য ২০১২-২০১৭ তিনি দায়িত্বভার সামলান। কেন্দ্রেও তিনি প্রথমে প্রতিমন্ত্রী ও পরে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বভার পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিধায়ক ছিলেন হিমাচল বিধানসভায়। পাঁচবার লোকসভাতেও গিয়েছেন তিনি, প্রথমবার ১৯৬২ সালে ও শেষবার ২০০৯তে।
হিমাচলের রাজপরিবারের ছেলে বীরভদ্র সারাহানে জন্মগ্রহণ করেন ২৩ জুন ১৯৩৪ সালে। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্সে পড়াশুনো করেছিলেন তিনি। আক্ষরিক অর্থেই ওল্ড স্কুল রাজনীতিবিদ বীরভদ্রের কথার মধ্যেই স্পষ্ট হত তাঁর শিক্ষাদীক্ষা, আভিজাত্য। শুধু কংগ্রেস নয়, হিমাচল প্রদেশের রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বীরভদ্রের প্রয়াণে।