জমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর্থিক তছরূপের মামলায় গত জানুয়ারিতে গ্রেফতারির পর শুক্রবার তাঁকে জামিন দিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেমন্তের আইনজীবী অরুণাভ চৌধুরী বলেছেন যে 'হেমন্ত সোরেনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে তিনি ওই অপরাধের মামলায় দোষী নন। আর জামিনে থাকার সময় মামলাকারী (হেমন্ত) কোনও অপরাধমূলক কাজ করারও কোনও সম্ভাবনা নেই।'
জামিনের বিরোধিতা করেছিল ED
যদিও জামিনের মামলার শুনানির সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবী তথা অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু সওয়াল করেছিলেন যে হেমন্তকে যদি জেল থেকে ছাড়া হয়, তাহলে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফের একইরকম অপরাধ করবেন। যদিও হেমন্তের আইনজীবী দাবি করেছেন, হাইকোর্ট মন্তব্য করেছে যে সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। সেইসঙ্গে তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। যিনি আপাতত বীরসা মুণ্ডা জেলে আছেন।
প্রথম থেকেই হেমন্তের পাশে মমতা
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই গত ৩১ জানুয়ারি হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেইসময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন যে হেমন্তের সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার নেই। ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং কংগ্রেসের জোট সরকার আছে। সেই সরকারকে দুর্বল করতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে পুরো চক্রান্ত করানো হয়েছে।
মমতা বলেছিলেন, ‘বেআইনিভাবে পরাক্রমী আদিবাসী নেতা হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জনাদেশের ভিত্তিতে গঠিত একটি সরকারকে দুর্বল করার জন্য বিজেপির মদতপুষ্ট কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি এই প্রতিহিংসামূলক চক্রান্ত করেছে। হেমন্ত আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নিঃস্বার্থভাবে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা করছি আমি। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র রক্ষার শপথ নিচ্ছি।’
হেমন্তের গ্রেফতারি সংক্রান্ত তথ্য
১) ৩১ জানুয়ারি হেমন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
২) হেমন্ত-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ৩০ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেছিল ইডি।
৩) সম্প্রতি একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও দাখিল করা হয়। ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতা অন্তু তিরকে-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করে ইডি।