সরকার পড়ে যাওয়ার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। তবে সমস্যা যেন ছায়াসঙ্গী হয়ে রয়েছে ইমরান খানের। এর মাঝেই তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসেছেন, যে তা বারবার উঠে এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রে। গত সপ্তাহে এক মহিলা বিচারপতিকে তিনি হুঁশিয়ারি দেওয়ারর তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী মামলা দায়ের হয়। এরপর তাঁর নয়া মন্তব্যে ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
মহিলা বিচারপতিকে হুমকি মামলায় গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা পেয়েও নতুন বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার এক সপ্তাহের জন্য সবে মাত্র অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন ইমরান খান। আর শুক্রবারই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'আমি কিন্তু খুবই ভয়ঙ্কর', শুধু এই মন্তব্যের জন্যই ফের একবার শিরোনাম কাড়লেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে ইমরান বলেন, ' ভয় পেয়ে পাকিস্তানের সব থেকে বড় দলের প্রধানকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।' তিনি একধাপ এগিয়ে বলেন, পাকিস্তানকে নিয়ে হাস্য, মশকরা করা হচ্ছে, কারণ দেশে আইন নেই'। ইমরান বলেন, 'কোনও আইন এখানে নেই। যে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যাবে এখানে।... ওঁরা দেশকে মশকরার পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন।' 'হয় নাও নয় ছেড়ে দাও' পরিস্থিতি! হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতিতে বার্তা কোর্টের
সম্প্রতি ইমরানের ঘনিষ্ঠ শাহবাজ গিলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ইসলামাবাদের সভা থেকে ইমরান বলেন, শাহবাজ গিলকে জেলে প্রবল অত্যাচার করা হচ্ছে। তখনই তিনি আদালতের মহিলা বিচারপতিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন আইনে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলা এক সপ্তাহের জন্য গ্রেফতারি এড়ানোর রক্ষা কবচ পান ইমরান। তারপরই তিনি বলেন, 'আমি খুবই ভয়ঙ্কর'। উল্লেখ্য, তাঁর বক্তব্যে বারবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে বার্তা উঠে এসেছে। পাকিস্তানে তাঁর লাইভ বক্তব্যের সম্প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।