তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হচ্ছে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকারকে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার দিন থেকে তাঁর মোদী বিরোধিতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি প্রথমেই জানান, এই সরকার সবদিক থেকে ব্যর্থ। তাই নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা জারি থাকবে। নরেন্দ্র মোদীর শাসনে দেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে৷ এই অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রস্তাবে রাজি হয়ে রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার তিনি গুজরাতে মহাত্মা গান্ধীর তৈরি সবরমতী আশ্রমের আধুনিকিকরণের নামে অবমাননার অভিযোগ তুললেন।
সোমবার তিনি ট্যুইট করে লেখেন, ‘মোদী জি, মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহাসিক সবরমতী আশ্রমের আধুনিকিকরণ করার সময় একটু সতর্ক থাকুন। এটা দেশের সম্পদ। কারও রাজনৈতিক খেলনা নয়।’ উল্লেখ্য, এই সবরমতী আশ্রমের আধুনিকীকরণে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে গুজরাত সরকার। সবরমতী আশ্রমকে বিশ্বমানের মিউজিয়াম ও পর্যটন কেন্দ্র করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর এখানেই মহাত্মা গান্ধীর গড়ে তোলা সবরমতী আশ্রমের অবমাননা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তাই নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবী রাজ্যসভার সাংসদ।
তাঁর নাম প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জহরবাবু৷ তিনি লিখেছিলেন, ‘মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৬ সালে আমি প্রসার ভারতীর সিইও পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম৷ কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে কাজ করছিলেন, তার সঙ্গে আমি মানিয়ে নিতে পারছিলাম না৷’ তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘আমি এই মনোনয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। কারণ যেভাবে দানবীয় শক্তি ব্যবহার করে মানবাধিকারকে দমনের করা হচ্ছে, সাম্প্রদায়িকতা, করোনাভাইরাস, মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক দুর্দশা, বেকারত্ব সামলাতে বিপর্যয় ডেকে আনছেন নরেন্দ্র মোদী, তার বিরুদ্ধে আমি নিজের লড়াই জারি রাখতে পারব৷’