গতবছর যখন অনুগামীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' ঘোষণা করেন, তখন থেকেই সচিন পাইলটের বিজেপি যোগ নিয়ে একটা জল্পনা চলছিল। এই আবহে সম্প্রতি ফের বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন সচিন পাইলট। এই পরিস্থিতিতে একদিন আগেই বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুণা যোশী দাবি করেন যে তিনি সচিনকে বিজেপিতে আসার আহ্বান জানান। তবে রীতার সেই দাবি খারজি করে দেন সচিন পাইলট। পাশাপাশি কটাক্ষের সুরে বলেন, 'আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কেউ কথা বলেননি, হয়ত তেন্ডুলকরের সঙ্গে বলে থাকতে পারেন।'
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রীতা বহুগুণা যোশী। সেই নেত্রী একদিন আগে দাবি করেন, কংগ্রেসে সুখে নেই সচিন পাইলট। তাই সচিনকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
যোশী এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, 'উত্তর ভারতে কংগ্রেস নিজেদের জমি হারিয়ে ফেলেছে। তাদের দলের উপর থেকে মানুষের আস্থা সরে যাচ্ছে। আমি সচিনকেও ফোন করে বলেছি যে তোমার মতো মানুষের ইতিবাচক রাজনীতিতে থাকা উচিত। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে সমর্থন করা উচিত।'
এর জবাবেই সচিন বলেন, 'রীতা বহুগুণা যোশী দাবি করেন যে তিনি সচিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। হয়ত তিনি সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আমার সঙ্গে কথা বলার সাহস তাঁর নেই।'
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রাজস্থানে। এই আবহে ফের বিদ্রোহের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে কংগ্রেসের অন্দরে। দূরত্ব বাড়ছে অশোক গেহট-সচিন পাইলটের মধ্যে। এর আগে গতবছরই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করে ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে রিজর্টে গিয়ে থেকেছিলেন বেশ কয়েকদিন। তারপর ঘর ওয়াপসি হলেও পুরোনো সম্মান ফিরে পাননি সচিন।
এই পরিস্থিতিতে সচিন পাইলট একদিন আগেই বলেছিলেন, '১০ মাস হয়ে গিয়েছে। আমি ভেবেছিলাম যে কমিটি খুব শীঘ্র সব বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। আমাদের সরকারের মেয়াদের আর্ধেক শেষ হয়েছে। তবে সমস্যা মেটানো সম্ভব হয়নি। এটা দুঃখের বিষয়, যে কর্মীরা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে দলের হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছিলাম এই কর্মীদের পরিশ্রমের উপর ভর করেই।' যারপরে ফের তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।