বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Hate Speech: 'গোলি মারো' প্রসঙ্গ থেকে ধর্মসংসদ ইস্যু, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি চড়ালেন সুর

Hate Speech: 'গোলি মারো' প্রসঙ্গ থেকে ধর্মসংসদ ইস্যু, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি চড়ালেন সুর

জাস্টিস মদন লকুর।

সুর চড়িয়ে মদন লোকুর বলেন, 'একজন মন্ত্রী মালা পরাচ্ছেন গণপিটুনিতে দোষীদের। পিটুনি কিন্তু একটি হিংসার রূপ। আর বিদ্বেষমূলক বার্তা থেকেই হিংসা দানা বাঁধে।'

ধর্ম সংসদের বিদ্বেষমূলক বার্তা থেকে সুল্লি ডিলস কিম্বা বুল্লি বাই অ্যাপ অথবা 'গোলি মারো' বক্তব্য প্রসঙ্গে এবার সুর চড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জাস্টিস মদন লোকুর। এক অনুষ্ঠানে তিনি রবিবার বক্তব্য রাখেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বিদ্বেষমূলক বার্তা বা হেট স্পিচ সম্পর্কে চড়িয়েছেন সুর। জানান দিয়েছেন, এই বিদ্বেষমূলক বার্তার আইনি দিক কী কী হতে পারে। কার্যত মোদী সরকারের সমালোচনার সুর চড়িয়ে তিনি প্রসঙ্গ তোলেন বাক স্বাধীনতা ও হিংসায় প্ররোচনার।

সুর চড়িয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, 'একটি ধর্মসংসদ আছে। সেখানে এথনিক ক্লিনসিংএর কথা বলা হয় তথা গণহত্যার কথা বলা হয়। মনে রাখবেন, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে চরম ক্ষেত্রে, ঘৃণামূলক বক্তব্য হিংসা বা গণহত্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।' একইসঙ্গে সুর চড়িয়ে মদন লোকুর বলেন, 'একজন মন্ত্রী মালা পরাচ্ছেন গণপিটুনিতে দোষীদের। পিটুনি কিন্তু একটি হিংসার রূপ। আর বিদ্বেষমূলক বার্তা থেকেই হিংসা দানা বাঁধে।' একই সঙ্গে নাম না করে বিজেপি মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে টার্গেট করে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, 'দিল্লিতে আমাদের একজন মন্ত্রী রয়েছেন, যিনি তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন না, তবে এখন মন্ত্রী হয়েছেন, আর বলছেন 'গোলি মারো'। এটা হত্যার প্ররোচনা ছাড়া আর কী, তবে উনি বলতে পারেন, আমি এমন কিছু বলিনি, আমি শুধু বলেছি গুলি করুন, বলিনি যে কাকে করতে হবে...তবে যাঁরা শুনবেন তাঁরা বলবেন দেশদ্রোহীদের।'

এরপরই হরিদ্বার ধর্মসংসদ ইস্যুতে জাস্টিস লোকুর বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞাসা করেছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু করেনি 'এক্সিকিউটিভ মহাশয়'। তিনি বলেন, এরপর সুপ্রিম কোর্ট হরিদ্বারের হেট স্পিট নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করলে, কয়েকটি গ্রেফতারি হয়। 'ধৃতরা জামিন পেয়ে যান যদিও..তাহলে আপনার কাছে রয়েছে এমন এক পুলিশ যারা কিছু করছে না, আর রয়েছে একটি নীরব সরকার। অন্যদিকে আপনার কাছে রয়েছে সরকারী কিছু মানুষ যাঁরা বেশ অত্যধিক কর্মঠ, যাঁরা তাদের গণপিটুনিতে দোষীদের মালা পরান।' তিনি বলেন, এসবের পরও আদালত বলে, যতক্ষণ না কোনও হিংসার ঘটনা ঘটছে ততক্ষণ পর্যন্ত এটা নিয়ে আদালত কিছু বলবে না। ফলে বিদ্বেষমূলক বার্তার পরম্পরা চলতে থাকে।

 

 

বন্ধ করুন