দীর্ঘ রোগভোগের পরে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যশবন্ত সিং। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
আর্মি হসপিটাল (রিসার্চ অ্যান্ড রেফাকাল) রবিবার সকালে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৬.৫৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) যশবন্ত সিং। গত ২৫ জুন সেপসিস ও একাধিক অঙ্গ অচল হওয়ার সমস্যা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
এ দিন যশবন্ত সিংয়ের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে প্রয়াত নেতার প্রতি টুইটারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
২০১৪ সালের ৭ অগস্ট নিজের বাড়ির শৌচাগারে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান বর্ষীয়ান নেতা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি গভীর কোমায় আচ্ছন্ন হন। চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টাতেও এই অবস্থা থেকে তাঁকে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। রবিবার সকালে তাঁর প্রয়াণ হয়।
১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের বারমের জেলার জসোল গ্রামের এক রাজপুত পরিবারে জন্ম যশবন্ত সিং জসোলের। সেনাবাহিনীতে দীর্ঘ চাকরিজীবন শেষ হলে তিনি রাজনীতিতে পদার্পণ করেন।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই নেতা দেশের দীর্ঘ মেয়াদী সাংসদদের মধ্যেও অন্যতম ছিলেন। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি সংসদে সক্রিয় ভাবে উপস্থিত থেকেছেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন যশবন্ত, যার মধ্যে ছিল অর্থ, বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ১৯৯৮-৯৯ সালে তিনি যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে দিল্লির মসনদ বিজেপি-র হাতছাড়া হলে তিনি রাজ্য সভার বিরোধী দলনেতার ভূমিকাও পালন করেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন যশবন্ত, যার মধ্যে ছিল অর্থ, বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ১৯৯৮-৯৯ সালে তিনি যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে দিল্লির মসনদ বিজেপি-র হাতছাড়া হলে তিনি রাজ্য সভার বিরোধী দলনেতার ভূমিকাও পালন করেন।
২০০৯ সালে তাঁর লেখা বইয়ে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ মন্তব্য করার জেরে তিনি নিদের দলের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার না করায় ধীরে ধীরে দলে একঘরে হয়ে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙের সাংসদ।
২০১৪ সালের লোক সভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তা সত্ত্বেও তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে নিজের জেলা বারমের থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারসিদ্ধান্ত নেন। দলের তরফে মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ অমান্য করায় শেষ পর্যন্ত ওই বছরের ২৯ মার্চ বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যশবন্ত সিং।
এর কয়েক সপ্তাহ পরেই নিজের বাড়ির শৌচাগারে পড়ে গিয়ে গভীর কোমায় আচ্ছন্ন হন বর্ষীয়ান নেতা। এ দিন ভোরে চিরনিদ্রায় তলিয়ে গেলেন তিনি।