প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সুখরাম। বুধবার নয়াদিল্লির এইমসে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হিমাচল প্রদেশের নেতা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫।
গত ৬ মে ব্রেনস্ট্রোক হয়েছিল সুখরামের। তারপর ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। প্রাথমিকভাবে হিমাচলের মান্ডিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জোনাল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। শনিবার আকাশপথে তাঁকে নয়াদিল্লিতে উড়িয়ে আনা হয়। বুধবার সেখানেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
সুখরামের উত্থান
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুখরাম পাঁচবার বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। ১৯৬৩ সালে মান্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। সেইসময় নিজেকে ‘গরিবের মসিহা’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের টিকিটে সেই আসন ধরে রেখেছিলেন। তারইমধ্যে ক্রমশ জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসতে শুরু করেছিলেন। মান্ডি থেকে তিনবার সাংসদও হয়েছিলেন। ১৯৯২ সালে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু 'বিরোধী' বিদর্ভ সিংয়ের হস্তক্ষেপে সেই স্বপ্ন অধরা থেকে যায় সুখরামের।
বিতর্কিত অধ্যায়
তারইমধ্যে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, বরাত পাইয়ে দিতে কয়েকটি সংস্থার থেকে ঘুষ নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি থেকে হিসাব বহির্ভূত অর্থ উদ্ধার করেছিল সিবিআই। যদিও সেই ঘটনার যাবতীয় দায় বিদর্ভের উপর চাপিয়েছিলেন সুখরাম। তারইমধ্যে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন। দেশে ফিরতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও হয়েছিল। পরে স্বাস্থ্যগত কারণে ছাড়া পেয়েছিলেন।
কিংমেকার
১৯৯৭ সালে নিজের দল হিমাচল বিকাশ কংগ্রেস চালু করেছিলেন সুখরাম। ভোটের পর বিজেপিকে সরকার গড়তে সমর্থন জুগিয়েছিলেন। তারপরই 'কিংমেকার' তকমা পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুখরাম। আবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।