মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন মডেল। অভিযোগ, দুই দশক আগে ইউএস ওপেন টেনিস প্রতিযোগিতার মাঝে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন তৎকালীন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প।
সম্প্রতি ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মডেল অ্যামি ডরিস জানিয়েছেন, নিউ ইয়র্কের টেনিস প্রতিযোগিতায় বিশিষ্ট দর্শকদের জন্য নির্দিষ্ট ভিআইপি বক্সে তাঁকে জোর করে চুমু খান ট্রাম্প। তাতে বাধা দিলে, ‘জড়িয়ে ধরে আমার নিতম্ব, বুক, গলা-সহ সারা শরীরে হাত বুলোতে থাকে সে।’
অ্যামি জানিয়েছেন, ‘আমি ওর কব্জা থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বিফল হই। আমার মুখের ভিতরে ও জিভ ঢুকিয়ে দিলে দাঁত দিয়ে ঠেলে বের করে দিই। মনে হয় তাতে ওর জিভ কেটে যায়।’
হিসেব বলছে, সেই সময় ট্রাম্পের বয়স ৫১ বছর এবং দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা মেপলসের সঙ্গে তিনি থাকেন। অন্য দিকে, অ্যামি ডরিস তখন ২৪ বছর বয়েসি।
ডরিসের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে তাঁরা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে থাকলে তার কিছু সাক্ষী থাকবেন। শুধু তাই নয়, টেনিস প্রতিযোগিতায় নিজের তৎকালীন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে উপস্থিত থাকলেও পরে একাধিক বার কী কারণে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গেদেখা করেন, সেই প্রশ্নও তাঁরা তুলেছেন।
ট্রাম্পের এই অভব্যতা সম্পর্কে এর আগে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি ডরিস। তবে এক বন্ধু ও তাঁর মাকে তিনি ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন বলে দাবি। দ্য গার্ডিয়ান-এর তরফে বলা হয়েছে, সেই সময় যাঁদের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
বর্তমানে দুই সন্তানের জননী ডরিস জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ করার কথা ভাবলেও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেই চেষ্টা থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু এখন মেয়েরা বড় হওয়ায় তাদের সাবধান করতেই ঘটনার কথা ফাঁস করেছেন বলে দাবি ওই প্রাক্তন মডেলের।
ঘটনা হল, ডরিসের আগেও একাধিক মহিলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। এর জেরে ২০১৬ সালে নির্বাচন প্রচার প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের।