অবশেষে হুঁশ ফিরেছে পাকিস্তানের। স্বাধীনতার ৭৩ বছরের মাথায় রাজধানী ইসলামাবাদে প্রথম হিন্দু মন্দির নির্মাণে অনুমতি দিয়েছে ইমরান খান সরকার। তারপরই শুরু হল সেই কৃষ্ণ মন্দিরের নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া।
ইসলামাবাদের এইচ-৯-তে ২০,০০০ বর্গফুট এলাকাজুড়ে মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে। সেজন্য প্রাথমিকভাবে খরচ ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। মন্দির চত্বরে শেষকৃত্যের জায়গা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় আচারের জন্যও জায়গা রয়েছে। গত মঙ্গলবার ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় সচিব লালচাঁদ মালহি। তিনি জানান, ইসলামাবাদ এবং আশপাশের এলাকায় ১৯৪৭ সালের আগের একাধিক মন্দিরের কাঠামো রয়েছে। সায়েদপুর গ্রামে এবং রাওয়াল লেকের কাছে কোরাঙ্গ নদীর উপর হিল পয়েন্টেও মন্দিরের কাঠানো রয়েছে। সেগুলি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মন্দির নির্মাণের খরচ পাকিস্তান সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন সেদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী পীর নুরুল হক কাদরি। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তাকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মন্দিরের জন্য বিশেষভাবে অর্থ মঞ্জুরের বিষয়টি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কানে তুলবেন মন্ত্রী।
২০১৭ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে হিন্দু পঞ্চায়েতকে মন্দিরের জন্য প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি টালবাহানা এবং লাল সুতোর ফাঁসে নির্মাণ কাজ শুরু হতে ২০২০ সাল গড়িয়ে যায়।