খাতা হোক বা পেন্সিল, মার্কার অথবা আঁকার বিভিন্ন উপকরণ- শিক্ষা ক্ষেত্রে ‘ক্যামলিন’ কোম্পানির বিভিন্ন সরঞ্জামের সঙ্গে কমবেশি বেশি পরিচিত সকলেই। প্রয়াত হলেন সেই বিখ্যাত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ দান্ডেকর সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিকেল সাড়ে ৩ টেয় দাদরের শিবাজি পার্ক শ্মশানে তাঁর মৃতদেহ দাহ করা হয়। মৃত্যুকালে ক্যামলিন গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সুভাষ দান্ডেকরের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। পেশাগত ক্ষেত্রে তিনি একজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
আরও পড়ুন: বয়স মাত্র ৩২, অভিনেতা রণদীপের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার, কেন এই অকাল মৃত্যু?
সুভাষ দান্ডেকর উচ্চ মানের আঁকার উপকরণ তৈরিতে ক্যামলিন গ্রুপকে একেবারে শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিলেন। পেশাদার শিল্পীর সরঞ্জাম এবং গাণিতিক সরঞ্জাম, পেন্সিল, মার্কার এবং কালি তৈরিতে বিখ্যাত এই ক্যামলিন গ্রুপ। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে মহারাষ্ট্রের শিল্প মহলে। মহারাষ্ট্র চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ললিত গান্ধি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের শিল্প ক্ষেত্রে সুভাষ বাবুর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ক্যামলিন গোষ্ঠীর শিল্প সম্প্রসারণে তাঁর অবদান ভোলার নয়। শুধু তাই নয়, ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি মহারাষ্ট্র চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ছিলেন।
সুভাষ দাণ্ডেকরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিস। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে বিখ্যাত এই শিল্পপতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রবীণ উদ্যোক্তা সুভাষ দাণ্ডেকর মৃত্যুতে একজন বিখ্যাত ব্যক্তিকে হারালাম। তিনি ক্যামলিন গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মারাঠি শিল্প জগতে খ্যাতি এনেছিলেন। সুভাষ দান্ডেকর কেবল ক্যামলিন শিল্পই গড়ে তোলেননি, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে হাজার হাজার যুবকের জীবনকে রঙিন করেছেন। মূল্যবোধ রক্ষাকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। শিল্প বৃদ্ধি করার সময় বহু মানুষ কাজ পেয়েছেন।’
দান্ডেকরের ব্যক্তিত্বের কথা বলতে গিয়ে উপ মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘তিনি শ্রমকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য সবসময় জোর দিতেন। একজন মারাঠি মানুষ যে তার দক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে একটি শিল্প গড়ে তুলতে পারে সে এক দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ তিনি স্থাপন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে নতুন প্রজন্ম একজন গুরুকে হারাল। আমরা তার পরিবারের দুঃখে সামিল। তাঁর পরিবার যেন এই কষ্ট সহ্য করার শক্তি পায়। ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।’