টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ৩৮ বছর বয়সী ঝ্যাং ওয়াইমিং চিনের ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এই আশঙ্কায় টিকটককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। সেই টিকটক বেচেই লক্ষ্মীলাভ ঝ্য়াং ওয়াইমিংয়ের। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫২.৮ বিলিয়ন ডলার। তিনগুণ হয়ে গিয়েছে তার সম্পদ।
ধনীদের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন ঝং শানশান। তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬০.৬ বিলিয়ন ডলার। অতিমারি পরিস্থিতিতে তাঁর আয় বেড়েছে হু হু করে। কোভিড পরীক্ষার কিট তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁর কোম্পানি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ব্যাটারি কিং, জেং ইউকান। ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বিশ্বের ব্য়াটারি ব্যবসায় একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছেন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪৭.৪ বিলিয়ন ডলার। চিনের বড়লোকদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনের তালিকায় রয়েছে আলিবাবা গ্রুপের কর্ণধার। প্রায় ৩০৭জন বিলিওনার যুক্ত হয়েছে চিনের ধনীদের তালিকায়।
এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার দেখা যাচ্ছে রিয়েল এস্টেট, পর্কের ব্য়বসা, ভিডিও গেম সেভাবে বাজার ধরতে পারেনি। কিন্তু সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে অচিরাচরিত শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক কোম্পানি। সৌর শক্তি থেকে ব্যাটারি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি দ্রুত এগিয়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে গত ২০ বছর আগেও এত বিপুল ধনসম্পদের মালিকানার কথা ভাবাই যেত না। তবে এখন সেটাই সম্ভব হয়েছে চিনে। তবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি যেভাবে সম্পদের পরিমাণ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালে প্রায় ২০০০ বিলিওনার থাকবে শুধু চিনেই।