ত্রিপুরা রাজ্যে আগে থেকে বিদ্রোহের আঁচ দেখা গিয়েছিল। বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। এবার বিপ্লব মন্ত্রিসভায় সেই বিদ্রোহের আঁচ বাড়তে শুরু করেছে। যা চিন্তায় ফেলেছে স্বয়ং বিপ্লব দেবকে। কারণ ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন চার বিজেপি বিধায়ক।
কারা এই চার বিধায়ক? বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ–সহ আশিস সাহা, দিবাচন্দ্র রাংখল, বুর্বমোহন এখন বিপ্লব মন্ত্রিসভায় বিদ্রোহী। ইতিমধ্যেই তাঁরা ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। এমনকী ত্রিপুরার প্রত্যেকটি জেলায় বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে বৈঠক করতে চলেছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। এমনকী দল পর্যন্ত ছাড়ার কথা ভাবছেন বলে সূত্রের খবর।
আগামী ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে এখন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তার মধ্যেই এই বিদ্রোহ বেশ তাৎপর্যপূর্ম বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিদ্রোহী বিধায়কদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ। আইনশৃঙ্খলা থেকে উন্নয়ন—মুখ্যমন্ত্রী কিছুই করতে পারেননি। পুরসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছে। এবার এই বিদ্রোহ বিপ্লব দেবের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিজেপি প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। এবার বিক্ষুব্ধ চার বিধায়কই বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। এমনকী এখানেরও বিজেপির আদি গোষ্ঠী তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। এই চার বিজেপি বিধায়ক সরে গেলে বিপ্লব দেব সরকারকে জোট শরিকের উপর নির্ভর করতে হবে। ইতিমধ্যেই বিধায়ক আশিস দাসের বিধায়কপদ খারিজ হয়েছে।