আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে চার আইসিস জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হল। সোমবার গুজরাটের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের (সন্ত্রাস-দমন শাখা) তরফে জানানো হয়েছে, ওই চারজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক। উল্লেখ্য, আগামিকাল আমদাবাদে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার (কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) আছে। বুধবার এলিমিনেটরের ম্যাচও (রাজস্থান রয়্যালস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু) হবে আমদাবাদে। তারপর আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা হবে। সেই পরিস্থিতিতে আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চার আইসিস জঙ্গি ধরা পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যদিও ওই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আপাতত বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। জঙ্গিদের গন্তব্য কোথায় ছিল, আমদাবাদে আসার সময় ধরা হয়েছে নাকি আমদাবাদ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ধরা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করেনি গুজরাটের এটিএস। জানা যায়নি জঙ্গিদের উদ্দেশ্যও।
জঙ্গিদের অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে করা হচ্ছে জেরা: রিপোর্ট
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আপাতত জঙ্গিদের জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু কোথায় নিয়ে গিয়ে তাদের জেরা করা হচ্ছে, তা নিয়ে গুজরাট এটিএসের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তারইমধ্যে আমদাবাদ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
মার্চেই অসমে গ্রেফতার হয়েছিল ২ ISIS জঙ্গি
গত মার্চেই অসমের ধুবরি থেকে দুই আইসিস (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পরই ধরা পড়েছিল তারা। হরিশ আজমল ফারুকি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা ছিল। আর হরিয়ানার বাসিন্দা ছিল অপর জঙ্গি অনুরাগ সিং ওরফে রেহান। তারা ভারতের আইসিসের শাখাপ্রশাখা বিস্তারের কাজ চালাচ্ছিল। জঙ্গি নিয়োগ করছিল। সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যাওয়ার জন্য জোগাড় করছিল অর্থ। সেইসঙ্গে আইইডি ব্যবহার করে হামলা চালানোর পরিকল্পনাও ছিল।
সেইসময় অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল যে ভারতে আইসিসের প্রধান হল আজমল। অন্যদিকে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল রেহান। তার স্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। দু'জনেই আইসিসের বড় মাথা ছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও (এনআইএ) তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল। তাছাড়াও দিল্লি, লখনউয়ের মতো জায়গায় তাদের নামে মামলা আছে।